জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকার দুঃস্বপ্ন দেখছে: খসরু
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকার দুঃস্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের কথা বলছেন, কেউ কেউ ইভিএমের কথা বলছেন; ভোটে যাওয়া-না যাওয়ার কথা বলছেন। সত্যি বলতে কী, সরকার কিন্তু দুঃস্বপ্ন দেখছে। অন্যবারের মতো এবারও ওনারা ভাবছেন, এসব কথা বলতে বলতে বোধহয় নির্বাচনের দিন পার হয়ে যাবে। কিন্তু ওনারা জানেন না, এসব এবার আর চলবে না।শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের কালসীতে ঢাকা মহানগর উত্তরের পল্লবী জোন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম সাওন এবং যশোরে আব্দুল আলিম হত্যাসহ সারাদেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আমীর খসরু বলেন, বিগত দিনে আমাদেরও দোষ ছিল। এরকম একটা নির্বাচন করার সুযোগ আমরাই তাদের দিয়েছিলাম। এতে আমাদের নেতাকর্মীরা কষ্ট পেয়েছেন, প্রাণ দিয়েছেন, জেলে গেছেন। দুর্বৃত্তায়ন করে আরেকটা নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হবে না। এবারও তারা একই স্বপ্ন দেখছেন। এবারেরটা বৃথা স্বপ্ন। এই স্বপ্ন কোনোভাবে পূরণ হওয়ার মতো নয়।তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। দুই বেলা খেতে পারছে না। বিদ্যুতের বিল দিতে পারছে না, গ্যাসের বিল দিতে পারছে না, প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য কিনতে পারছে না। ফলে দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা রাস্তায় নেমে গেছে। আমাদের আস্থা রয়েছে জনগণের ওপর। লাখো জনতার সামনে যারা দাঁড়াবেন, তারা জনগণের জোয়ারে ভেসে যাবেন।শেষ কথা হচ্ছে- আমরা রাস্তায় নেমেছি, বাড়ি ফিরে যাবো না। যেদিন বাড়ি ফিরবো, সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশ করে বাড়ি ফিরে যাবো। তার জন্য যত প্রাণ দিতে হয় দেবো।বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে রাষ্ট্র সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব আমিনুল হক। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাইফুল আলম নিরব, মহানগর দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইয়াসীন আলী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।