শিরোনাম
মহা জোটের কারনে বন্দরে ৪ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সাংগঠিনক ভাবে দুর্বল
বন্দর প্রতিবেদকঃ মহাজোটের কারনে বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠন গুলো সাংগঠিনক ভাবে দুর্বল হয়ে পরেছে। আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা টানা তিন বার হলেও জেলার গুরুত্বপূর্ন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সেলিম ওসমান টানা তিন বার এমপি হওয়ার কারনে বন্দরে ৫টি ইউনিয়নে মধ্যে বিশেষ করে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন, বন্দর ইউনিয়ন, মুছাপুর ইউনিয়ন ও ধামগড় ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ড ভাটা পরে।
এমন কথা জানিয়েছে তৃনমূল আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নতৃবৃন্দ। জাতীয় পার্টি এমপি টানা ৩বার এ আসনে প্রতিনিধিত্ব করার কারনে দেশের প্রাচিন সংগঠন ঐতিহ্যবাহী আওয়ামীলীগ উল্লেখিত ইউনিয়ন গুলোতে দূর্বল হয়ে পরে। আর এই দূর্বলতাকে কাজে লাগিয়েছে জাতীয় পার্টি। এর জলন্ত প্রমান পাওয়া গেছে গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে। এ ছাড়াও আওয়ামীরীগলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে রয়েছে নানা গ্রæপিং, লবিং ও অন্তঃকোন্দল। তৃনমূল নেতাদের অভিযোগ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের র্শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে তৃনমূল নেতাকর্মীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
ধামগড় ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গনমাধ্যমকে আরো জানিয়েছে, বন্দরে ধামগড় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আসন্ন কাউন্সিলকে সামনে রেখে ত্যাগী নেতাকর্মীদের তুলনায় হাইব্রিড ও সুবিধাবাদীরা বেশ এগিয়ে রয়েছে।
আসন্ন কাউন্সিলে পদ বাগিয়ে নেওয়ার জন্য জেলা আওয়ামীলীগ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের র্শীষ নেতাদের আর্শিবাদ ও দোয়া নেওয়ার জন্য এখন তারা সর্বত্রস্থানে বিচরন করেছে। বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছে, এখন টাকা কাছে সব কিছু বিক্রি হয়ে যায়। হাইব্রিড ও বিএনপি জামায়াত নেতাদের হাতে বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রাজনিতী চলে গেছে। বন্দরে অনেক বিএনপি ও জামায়াত নেতাকর্মী রয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের ছত্রছায়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও বন্দর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রাজনিতী সাথে জড়িত রয়েছে। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, মহাজোটের কারনে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কনঠাসা হয়ে পরেছে। বন্দরে ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে এক সময়ে কলাগাছিয়া ইউনিয়নকে আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে বেশ পরিচিত ছিল। মহাজোট হওয়ার পর থেকে এ ইউনিয়নে আওয়ায়ামীলীগের সাংগঠনিক ভাবে ভেঙ্গে পরে। তার পরও বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ¦ কাজিম উদ্দিন প্রধান এই ইউনিয়নের আওয়ামীরীগের রাজনিতীকে ধরে রেখেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দলীয় অন্তঃকোন্দলের কারনে ভোটের রাজনিতীতে আওয়ামীলীগ আগের তুলনায় অনেক পিছিয়ে পরছে। হাইব্রিড ও কাউদের কারনে আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতারা আর রাজনিতীতে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে না। চাপা ক্ষোভ ও অভিমান নিয়ে বহু আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মী রাজনিতী থেকে সরে আসছে। গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বন্দরে ৫টি ইউনিয়ন মধ্যে শুধু মাত্র মদনপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী এম.এ সালাম চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেও পরাজিত হয়েছে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীরীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ¦ কাজিম উদ্দিন প্রধান, ধামগড় ইউনিয়নে মাছুম , মুছাপুর ইউনিয়নের মজিবর ও বন্দর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম। #