শিরোনাম
পদত্যাগ, অন্তবর্তীকালীন সরকারের দাবিতে সমাবেশ গণমিছিল
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ সরকারের পদত্যাগ ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে। শনিবার ২৬ আগস্ট বিকালে নগরের ২নং রেল গেইটস্থ সৈয়দ আলী চেম্বারে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ভিন্নমতের উপর সরকারের দমন, পীড়ন, গ্রেফতার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পপি রাণী সরকারের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশব্যাপী বিরোধী দলগুলোর যুগপৎ ধারার আন্দোলনের ধারাবাহিক কার্যক্রম হিসেবে এই কর্মসূচি নারায়ণগঞ্জে পালন করা হয়। গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান টিপু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) মহানগর কমিটির সভাপতি মোতালেব মাস্টার, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন।
তরিকুল সুজন বলেন, এই জনসন্মতিহীন সরকার ২০১৪ সালে নিজেদেরকে নিজেরাই নির্বাচিত ঘোষণা করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছে। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে মানুষের ভোটাধিকার দ্বিতীয় বারের মতো হরণ করে ক্ষমতাকে স্থায়ি করেছে। আজকে ক্ষমতাসীনরা মানুষের জীবনকে জাহান্নামে পরিণত করেছে। সামনে আরেকটি নির্বাচন। সরকার ভাবছে ২০১৪ কিংবা ১৮ সালের মতো এইবারও আরেকটা পাতানো, লোক দেখানো নির্বাচন আয়োজন করবে। আমরা বলি পাগলের সুখ মনেমনে, দিনে-রাতে তারা গুনে। শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটা পাগলেও বিশ্বাস করে না। অন্তবর্তীকালীন সরকার ছাড়া এদেশে আর কোন নির্বাচন হবে না। আর সেটি শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণ আদায় করে ছাড়বে। দেশের মানুষের গণদাবি মেনে নিয়ে অনতিবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার বিরোধীদের উপর মামলা দিয়ে তাদের হয়রানী-নির্যাতন করে নির্বাচন থেকে দুরে রাখার কৌশল নিয়েছে। সম্প্রতি বিরোধীদের নামে মিথ্যা বানোয়াট মামলাগুলোতে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়ে সরকার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশকে বানচাল করছে। আমরা হুশিয়ার করছি, কোনভাবেই মানুষের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আরেকটি নির্বাচন করার চেষ্টার ভয়াবহ হবে। সরকারের সময় শেষ, সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। #