বন্দর উপজেলা আ’লীগে বিভাজনের মাস্টারমাইন্ড আলীনূর!
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরে আওয়ামীলীগের কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট বিভাজনকে ঘিরে নানা তথ্য উঠে আসতে শুরু করছে। স্থানীয় গণমাধমে এ ঘটনার মূল কারিগর হিসেবে দু’একজনের নাম প্রকাশ পেলেও তার কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি। তবে ইদানীং যে নামটি সর্বত্রই প্রচার পাচ্ছে সেটি হচ্ছে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা আলীনূর হোসেন। আলীনূর হোসেন মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তথা বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ সালামের ছোট ভাই।
মূলতঃ সালামের নির্দেশেই আলীনূর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সভা-মে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। এদিকে গত ৭ নভেম্বর দুপুরে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত উপজেলা আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের স ার করছে। আলীনূরের ওই বক্তব্যের পর থেকেই উপজেলা আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয়। এরপর থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের মূল ধারার নেতাদের শান্তি সমাবেশ হয় মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ প্রান্তে। উপজেলা আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে একাতœতা প্রকাশ করে সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ। আলীনূরের বেফাঁস মন্তব্যের বিরুদ্ধে সংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক যুবলীগ নেতা জানান,আলীনূর একজন বেয়াদব।
সে তার ভাইয়ের প্রভাবে যাচ্ছেতাই করে বেড়ায়। সে ওই বক্তব্যে এমপি সাহেবকে নিয়েও মন্তব্য করেছে। আবার সে বলেছে তাকে নাকি ষড়যন্ত্র করে এবার জেলা পরিষদে রাখা হয়নি। তার বিরুদ্ধে দলীয় ফোরাম থেকে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। অপরাপর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা একই শর্তে জানান,আলীনূর আমাদের অনেক পরেই রাজনীতিতে এসেছেন আমরা কখনো সিনিয়রদের কটাক্ষ করে কথা বলিনা আমরা সেটা শিখিনি। আলীনূরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সে আরো প্রশ্রয় পাবে। দলের বিভাজনের কারণ হিসেবে তার ওইদিনের বেফাঁস মন্তব্যই দায়ী বলে দাবি করেন। আমি মনে করে বন্দরের আওয়ামীলীগের বিভাজনের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার মাস্টার মাইন্ড এই আলীনূর। সে এমন কোন বড় নেতা হয়ে যায়নি রশীদ ভাইয়ের মতো একজন প্রবীণ ত্যাগী নেতাকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করার সাহস রাখে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোরালো দাবি জানাচ্ছি। #