শিরোনাম
তৃণমূলের প্রার্থীরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন – তৈমূর | মানুষ নৌকাকেই জয়ী করবেন – গাজী
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভবনা দেখি না, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে: সারাদেশে তৃণমূলের প্রার্থীরা ‘এমপি বাহিনীর দ্বারা’ বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, দু’এক মাসে গঠিত তৃনমূল বিএনপি’র ২০ জনও নেতাকর্মী নেই। তারা সবগুলো কেন্দ্রে পুলিং এজেন্ট দিতে পারবেনা। মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী তারা নৌকাকেই জয়ী করবেন।
আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে জয়ী করতে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেছে নারায়ণগঞ্জ ১-আসনের নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী ও তৃনমুল বিএনপির সোনালী আশঁ প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। বিকেলে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তারা গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন।
বক্তব্যে তারা বলেন, নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, মাদক নির্মূল সহ উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখবে।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোন সম্ভবনা আমি দেখি না৷ পরিস্থিতি তো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে৷ শুক্রবার বিকেলে তাঁর নির্বাচনী এলাকা রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জে প্রচারণার সময় সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি৷
সারাদেশে তৃণমূলের প্রার্থীরা ‘এমপি বাহিনীর দ্বারা’ বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন, রাতের আঁধারে পোস্টার খুলে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দলটির মহাসচিব৷
তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদেপ এমপি বাহিনীর দ্বারা বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন, পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না, লাগানো পোস্টার খুলে ফেলা হচ্ছে৷ চনপাড়াতে আমার পোস্টার লাগাতে দেয় নাই৷ নির্বাচন কমিশন কি শুধু শোকজ করবে নাকি অ্যাকশনেও যাবে সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি৷
তারপর সংবাদ সম্মেলন করে আমরা জাতির সামনে সব তুলে ধরবো৷’
সেনাবাহিনীকে নির্বাচনকালীন সময়ে ‘বিচারিক ক্ষমতা’ প্রদানের দাবি জানান তৈমুর আলম৷
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে সাক্ষী-গোপাল করে রাখা যাবে না৷ যেখানে সন্ত্রাস সেখানে প্রতিরোধ করতে পারার ক্ষমতা সেনাবাহিনীকে দিতে হবে৷ ২০১৮ সালেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল কিন্তু তারা ছিলেন কেবল সাক্ষীগোপাল৷ স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কেবল ডাইনে-বায়ে ঘুরছে, কারও কোন অভিযোগ শোনেও নাই, ব্যবস্থাও নেয় নাই৷ কারণ তাদের সেই ক্ষমতা দেওয়া হয় নাই৷
‘আমাদের দাবি, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হোক৷ যাতে কোন অপরাধ বা সন্ত্রাস সংঘটিত হলে, জোর করে সিল মারলে, ব্যালট ছিনতাই বা কোন কারচুপি হলে আইনগত ব্যবস্থা যাতে সেনাবাহিনী নিতে পারে৷ জনগণ যেন সেনাবাহিনীর কার্যকলাপে মনে করে যে, সেনাবাহিনী আসছে একটা সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য৷ সেনাবাহিনী যেন রাস্তাঘাটে না ঘুরে কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারে৷ কারণ ভোট জালিয়াতি হয় কেন্দ্রে৷ নতুবা সেনাবাহিনী নিয়োগ করে কোন লাভ হবে না৷ #