হাই স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কোচিংয়ের নামে অতিরিক্ত ৩৬’শ টাকা আদায়ে ক্ষোভ
নারায়নগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০২৪ সালের ৪০০এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৩৬০০ টাকা আদায়ের জন্য কতৃর্পক্ষ নোটিশ প্রদান করায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে অভিভাবকরা। তারা স্কুল ম্যানেজমেন্টের এধরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে ৩৬০০ আদায়ের বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুঁইয়া জানান ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নভেম্বর,
ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কোচিং বাবদ ৩০০০ টাকা এবং মডেল টেষ্টের জন্য ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটাকা আদায়ের ফলে ১৫লাখ অতিরিক্ত টাকা আদায় হবে বলে অভিভাবকরা জানিয়েছে। এদিকে একাধিক অভিভাবক অভিভাবক জানান সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা ২০২৩সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাসের বেতন দিয়ে আসছি।তারা জানান, এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরনের সময় গত অক্টোবর মাসে ডিসেম্বর মাসের বেতন সহ ফরম পুরন করা হয়েছে।
এরপর স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত নোটিশে পরীক্ষার্থীদেও নতুন ভাবে আগামী ২০জানুয়ারীর মধ্যে ৩৬০০ টাকা হিসাব বিভাগে জমা দিতে বলা হচ্ছে যা অভিভাবকদের বহন করা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। তারা অভিযোগ করেন অক্টোবর মাসে নিয়মিত ক্লাস ছিল কোন কোচিং করা হয়নি।তারপরও একমাসের কোচিং ফি বাবদ ১হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে কোন কোচিং করা হয়নি। জানুয়ারী মাসে এখন পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বচন কে ঘিওে কোন ক্লাশ হয়নি অথচ কোচিং ফি নেয়া হচ্ছে এবং এ মাসে মডেল টেষ্টের নামে অতিরিক্ত আরো ৬শ টাকা নেয়া হচ্ছে। এ টাকা না দেয়ো হলে এ্যাডমিড কার্ড দেয়া হবে না বলে জানানো হচ্ছে।অভিভাবরা জানান, এ টাকা আদায় করা হলে অতিরিক্ত ১৫লাখ টাকা আদায় হবে। অভিভাবকরা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।এদিকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুস আলী জানান সরকারি সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী কোন স্কুলে কোচিং ক্লাস করা যাবে না। সেখানে কোন স্কুলে যদি কোচিং ক্লাস করা হয় এটা আমাদের নজরে আসলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান,নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলে কোচিংয়ের নামে যদি কোন অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয় সেটা তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুঁইয়া জানান গভর্নিং বডির সভাপতি চন্দন শীলের সাথে আলোচনা করে কোচিং এবং মডেল টেষ্টের ফি নেয়া হ”্ছ।ে তিনি বলেন,স্কুলে কোচিং করা যাবে না এটা বোর্ডের নির্দেশনা আছে কিন্তু আমরা কোচিং করাচ্ছি শিক্ষার্থীদের ভালো রেজাল্টের জন্য। তিনি এ ব্যাপারে গভনিং বডির সভাপতির সাথে কথা বলার জন্য বলেন। গভনিং বডির সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলের সাথে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। গভনিং বডির সদস্য আবদুস সালাম জানান এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক কোন কিছু অবহিত না করেই কোচিং চালু করে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। তিনি বলেন এ ব্যাপারে অভিভাবকরা কোচিং এর টাকা আদায়ের বিষয়ে আমাদেও কাছে অভিযোগ করেছেন কিন্তু আমাদের কিছু করনীয় নাই। প্রধান শিক্ষক নিজ দায়িত্বে এ কোচিং এবং মডেল টেষ্ট নিচ্ছে। গভর্নিং বডি আমার জানামতে কিছু জানে না। প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে সবকিছু বলতে পারবেন। #