শিরোনাম
এ সভায় প্রশাসনের সদস্যরা আসেনি কেন এ প্রশ্ন পার্লামেন্টে তুলবো – এ কে এম শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে এত বিব্রত কোনোদিন হইনি। আমার ছোট বোন আইভীর মতো আমি সরাসরি প্রশাসনকে কিছু বলতে পারবো না৷ উনি বলে ফেলেন। কিছুদিন আগে বলেছেন, প্রশাসন ওখান থেকে টাকা কামায়।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে আয়োজিত অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন প্রত্যাশার আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
এর আগে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিযোগ করে বলেন, এখানে মাদকের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠান যা প্রশাসনের করা উচিত।
তারা করেনি আবার আসেওনি। কেন আসেননি তারা তার জবাব চান বক্তারা এবং এ ব্যাপারে শামীম ওসমানের পদক্ষেপ চান তারা।
তিনি আরও বলেন, আমি অনেক আগেই ডিসি অফিসে জানিয়েছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিল। নারায়ণগঞ্জে যারা আছেন তাদের জানা উচিত আমি শামীম ওসমান। আমি কারও দয়া দাক্ষিণ্যে চলি না। আমি রাজপথে তৈরি হওয়া মানুষ। প্রশাসনের সদস্যরা আসেনি কেন এ প্রশ্ন পার্লামেন্টের অধিবেশনে তুলবো। যারা জনগণের চাকরি করতে নারায়ণগঞ্জে এসেছেন তারা এখানে আসেনি কেন।
শামীম ওসমান বলেন, আমি তাদের দাওয়াত দিয়েছি। সরকারটা আওয়ামী লীগের। প্রশাসন আসেনি। আমি কী বলে তাদের মনের জোর বাড়াবো। আমি আনোয়ার ভাইকেও বলেছি, তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। আমার ছোট বোন আইভী হয়তো ব্যস্ত। আমি বলতে চাই সবাই আসুন। একসঙ্গে বসে একত্রে সুন্দর নারায়ণগঞ্জ রেখে যাই।
তিনি আরও বলেন, আমি মাথা নত করার মানুষ না। অনেকে অনেক কিছু করেন আমরা দেখি। টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়ী, মামলা হয় ফতুল্লা। এগুলো বলতে চাই না। হতাশ হবেন না। এটা আমাদের নারায়ণগঞ্জ, আমরাই ঠিক করবো।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দ্ন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সমরপাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবন, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম, জার্নালিস্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হাবিবুর রহমান বাদল, আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমুখ। #