নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশে
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশে সিন্ডিকেট ভাঙ্গো, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমাওরেশনিং চালু করা সহ টিসিবির পণ্য বিক্রি বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। এই দুই দাবিতে আজ ২৪ মার্চ, ২০২৪ (রবিবার) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দলের জেলা নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং মহানগর কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণী সরকারের সঞ্চালনায় উক্ত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলার অর্থ সম্পাদক নাজমা বেগম,
প্রচার সম্পাদক শুভ দেব, মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তাকবীর হোসেন, কার্যকরী সদস্য শুক্কুর মাহমুদ জুয়েল, পেশাজীবি সংহতির সংগঠক ফাহাদ বাপ্পি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলার সভাপতি ফারহানা মুনা, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।অঞ্জন দাস বলেন, প্রতি বছর রোজা এলেই একটা অরাজক পরিস্থিতি শুরু হয়ে যায় পুরো দেশজুড়ে। রমজানকে কাজে লাগিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী করা হয়। এমনিতেই নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন দিশেহারা। তার উপর সিন্ডিকেট করে এই দাম বৃদ্ধি মানুষের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা।
সারাদিন রোজা রেখে মানুষ একটু ভালো খাবে সেই পরিস্থিতি নেই। চাল, ডাল, তেল থেকে শুরু করে প্রতিটা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। খেঁজুর আর এখন মধ্যবিত্তরাও কিনতে পারেন না। গরীবের মাছ খ্যাত পাঙ্গাশের কেজিও প্রায় ৩০০ টাকা হয়ে গেছে। মানুষ কি করে খাবে। এসব দিকে সরকারের নজর নেই। তারা শুধু পারে বাজার মনিটরিং এর নামে নাটক মঞ্চায়ন করতে। অথচ কতিপয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী তাদের আখের গুছানোর জন্য যখন মানুষের উপর খড়গ চালায় সেগুলো তারা দেখেন না। আসলে তাদের দলীয় লোকজনই এগুলোর মূল হোতা। শষ্যের মধ্যেই ভূত লুকায়িত।তিনি আরও বলেন,
টিসিবির পণ্য বিক্রির নামে মানুষের সাথে তামাশা করা হচ্ছে। প্রতিটি গাড়ির সামনে ১০০ জনের জন্য পণ্য থাকলে সেখানে লাইন দিচ্ছে ৩০০ জন। মানুষ অসহায়ের মতো হাত পেতে পণ্য নিচ্ছে। স্বাধীনতার এতোগুলো বছর পার হয়ে গেলেও আমরা এদেশে নাগরিকের মর্যাদা পাইনি। অনতিবিলম্বে টিসিবির পণ্য বিক্রি বাড়াতে হবে। রেশনিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া সকল কলকারখানার শ্রমিকদের বিশ রমজানের মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে। যাতে করে সে তার প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার সময় পায়। এসবের দিকে নজর না দিয়ে জনগণের উপর নিপীড়ন চালাতে আসলে এর সমুচিত জবাব দেয়া হবে।#