জিডি করায় সন্ত্রাসীদের হাতে চোখ ও হাত-পা খোঁয়ালেন এবাদুর
আড়াইহাজার প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সন্ত্রাসীদের হুমকীর মুখে দীর্ঘ দিন গৃহবন্দী থাকার পর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি ( সাধারণ ডাইরী) করে এর জেরে সন্ত্রাসীদের হাতে চোখ ও হাত-পা হারালেন যুবক এবাদুর রহমান (৩৫)। ঘটনাটি গত ২৩ অক্টোবর ঘটলেও সন্ত্রাসীদের বাঁধার মুখে বিষয়টি মিডিয়ার সামনে আনতে পারেনি ভুক্তভোগি এবাদুরের পরিবার। বুধবার এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করতে এসে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পঞ্জা লড়া এবাদুরের ভাই আবুল হোসেন। আহত এবাদুর উপজেলার পাঁচবাড়ীয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে এবং তিনি একজন ব্যবসায়ি বলে জানা গেছে।থানায় অভিযোগের সূত্রে জানা যায় যে, এবাদুরের সঙ্গে এলাকার নানা বিষয় নিয়ে শত্রæতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে আসছিল একই এলাকার সন্ত্রাসী আবুল কাশেম, বাবুল প্রধান, সেলিম প্রধান,আব্দুল্লাহ প্রধান গং। তারা এবাদুলকে যেখানে পায় সেখানেই খূন করবে বলে হুমকী দিলে তিনি দীর্ঘদিন ঘরের বাহির হননি। কিন্তু বিষয়টির কোন সুরাহা না হওয়ায় এবাদুর গত ২৩ সেপ্টেম্বর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওই সন্ত্রসীদের নামে আড়াইহাজার থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেন ( জি ডি নংÑ১০৩২)। এ সাধারণ ডাইরীই তার জীবনের কাল হলো। জিডি করার সংবাদ পেয়ে সন্ত্রাসীরা এবাদুরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টারি দকে এবাদুর নগদ ১০ লাখ টাকা নিয়ে এক স্থানে জমি বায়না করার জন্য যান। তিনি উপজেলার পোড়াবাড়ি (খোরশানের বাড়ির সামনে) যাওয়া মাত্র সন্ত্রাসীরা তাকে চার দিক থেকে ঘিরে ধরে এবং তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘারের হাড় কেটে ফেল্ েলোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পায়ের হাড় ভেঙ্গে চুর্ণ বিচুর্ণ করে জীবনের তরে পঙ্গু করে দেয় এবং তার ডন চোখ চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জীবনের তরে নষ্ট করে দেয়। সন্ত্রাসীরা তার সঙ্গে থাকা ১০ লাখ টাকা লুটে নিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিৎ জেনে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে চলে যায়। তাকে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার জানান, বিষয়টি পুলিশের জানা ছিলনা। আজই এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।#
আড়াইহাজার প্রতিবেদকঃ
স, ০৩ঃ০৮ পি/এম