১৩ দেশের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে , সিত্রাং নাম যে কারণে
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। ইতিমধ্যে এটি সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপ নিয়েছে।উইকিপিডিয়ার তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার হয়, তাকে ঘূর্ণিঝড় বা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। গতিবেগ যদি ৮৯-১১৭ কিলোমিটার হয়, তখন তাকে তীব্র ঘূর্ণিঝড় বা ‘সিভিয়ার সাইক্লোন’ বলা হয়। আর বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় ১১৮ থেকে ২১৯ কিলোমিটার হয়, তখন সেটিকে হারিকেন গতিসম্পন্ন ঘূর্ণিঝড় বা ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন’ বলা হয়। গতিবেগ ২২০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে তাকে ‘সুপার সাইক্লোন’ বলা হয়।আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যা থেকে আগামীকাল সকাল ছয়টা কিংবা সাড়ে ছয়টার মধ্যে বাংলাদেশে আঘাত হানবে ‘সিত্রাং’। দেশের ১৩টি জেলায় এটি মারাত্মক আঘাত হানবে, আর দুই জেলায় হালকা আঘাত হানবে।এদিকে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে অনেকের মনে যেমন ভীতি তৈরি হয়েছে, তেমনি কৌতুহলও তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘সিত্রাং’ কেন তা নিয়ে।টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সিত্রাং’ নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। ভিয়েতনামিজ ভাষায় যার অর্থ ‘পাতা’। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের আনুষ্ঠানিক নামকরণের দায়িত্ব ছিল থাইল্যান্ডের।বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নামকরণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন।এই ১৩ দেশের সংস্থা এস্কেপ ২০২০ সালেই ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে রাখে। সেই তালিকা থেকে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয় ‘সিত্রাং’।ঘূর্ণিঝড়ের নামের ওই তালিকা থেকে এর আগে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশের দেয়া ‘ফণী’, পাকিস্তানের ‘তিতলি’, মালদ্বীপের ‘আইলা’, থাইল্যান্ডের ‘আম্ফান’। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণও করেছে থাইল্যান্ড। এমনকি সিত্রাংয়ের পরবর্তী ঝড়ের নামও ঠিক করা আছে আগে থেকেই। এরপরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘মন্দোস’। যার নামকরণ করেছে সৌদি আরব। এরপরের ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মোচা’। যেটি ইয়েমেনের দেয়া।