বন্দরে অটো চুরির অপবাদ দিয়ে নাইটগার্ডকে পিটিয়ে হত্যা
বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে অটো চুরির অপবাদ দিয়ে এক নাইটগার্ডকে ৩ দিন আটক রেখে শারীরিক নির্যাতনের পর পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে গ্যারেজ মালিক আক্তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। রোববার (২০ অক্টোবর) ভোরে নিহত নাইটগার্ড সিরাজুল ইসলাম (৬৫) লাশ উক্ত গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করে র্মগে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে বন্দর উপজেলার জহরপুর এলাকায় আক্তার হোসেনের মালিকানাধীন অটোরিকশা গ্যারেজে এ চুরির ঘটনা ঘটে। নিহত নাইটগার্ড সিরাজুল বন্দর উপজেলার মুছাপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়দের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মুছাপুর ইউপির জহরপুর এলাকার আক্তার হোসেনের মালিকানাধীন অটোরিকশা গ্যারেজে নাইটগার্ড হিসাবে কাজ করতেন পাশ্ববর্তী মুছাপুর গ্রামের বৃদ্ধ সিরাজুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার রাতে কৌশলে গ্যারেজ থেকে ৬টি অটো চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ একটি চোরের দল। এ ঘটনার জের ধরে নাইটগার্ড সিরাজকে গত তিনদিন যাবত গ্যারেজে আটক করে বেঁধে র্নিমম ভাবে নির্যাতন চালায় গ্যারেজ মালিক আক্তার, তার ছেলে অর্ণপ, মহিন, রাজু ও ৬ অটোচালক। নির্যাতনের পর শনিবার রাত আড়াই টার দিকে নাইটগার্ড সিরাজুল ইসলামের মৃত্য হয়। এ খবর পেয়ে রোববার সকালে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছেন।
নিহতের ছেলে ইউসুফ ও মেয়ে শিল্পি জানান, চুরির ঘটনার পর শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও গ্যারেজ মালিক আক্তার ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মঞ্জু মেম্বার বিচারের কথা বলে বাবাকে গ্যারেজে আটক করে রেখে যায়। পরে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে তারা। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে বাবা আমাদের সঙ্গে কথা বলবে বলে আক্তার বাড়িতে খবর পাঠায়। পরে উপস্থিত হয়ে দেখি বাবার লাশ গ্যারেজের ভেতরে পড়ে আছে। পুলিশের দায়িত্ব অবহেলার কারণে আমার বাবাকে তারা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাব্বির রহমান বলেন, নাইটগার্ড বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।#