সিদ্ধিরগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ডাইং কারখানা নির্মাণের অভিযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিবেদকঃ সিদ্ধিরগঞ্জের লাকি বাজার এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নীট ফেয়ার নামে একটি কারকানার ডাইং বিভাগের নির্মাণ কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। বিগত ৬দিন ধরে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে নীট ফেয়ার নামে ঐ প্রতিষ্ঠানটির নিয়োজিত শ্রমিকরা। এর আগে এই জমি নিয়ে ২০১৯ সালে আদালতে দেওয়ানী মামলা (নং-১৪) দায়ের করেন হারুন নামে এক ব্যক্তি। তার করা মামলার প্রেক্ষিতে মামলা চলাকালিন সময়ে ২০২১ সালে এ জায়গায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন আদালত। বদালতের নিষেধাজ্ঞা পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে দীর্ঘদিন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি জোরপূর্বক সে জায়গায় পূণরায় নির্মাণ কাজ চালু করেছে বলে অভিযোগ করেছে মামলার বাদি পক্ষের। মামলার বাদি হারুন অর রশিদ বলেন, ১৯৭০ সালে আমার বাবা ও মামা উক্ত স্থানে ২৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। সেই ক্ষেত্রে পৈত্রিক সূত্রে আমরা ১৪ শতাংশ এবং আমার মামা ১৪ শতাংশের মালিক। উক্ত জমি থেকে আমি বেলায়েত নামে এক ব্যক্তির কাছে ৭ শতাংশ বিক্রি করে দেই এবং আমার মামা ৭ শতাংশ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন।এদিকে বেলায়েতের ভাই আব্দুর রব তার কাছ থেকে পাওয়ার নিয়ে আমার এবং আমাদের কাছ থেকে ক্রয়কৃত ৭ শতাংশ এবং বাকি ১৪ শতাংশ দখল করে সীমানা প্রাচীর দিয়ে মোট ২১ শতাংশ জমি দখল দেখিয়ে নীট ফেয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেন। বর্তমানে ঐ প্রতিষ্ঠান আমাদের ১৪ শতাংশ সহ মোট ২১ শতাংশ জমিতে ডাইং কারখানা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো জানান, উক্ত জমি নিয়ে আমি আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করেছি। পরে আদালত থেকে ঐ স্থানে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এতদিন কাজ বন্ধ রাখলেও আদালতের কোন রায় না পেয়েই কিছুদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি উক্ত জায়গায় আবারো নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। আমাদের পুরো ২১ শতাংশ জমিতে সীমানা প্রাচীর তৈরি করে আমাদের চলাচলের পথও বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।এদিকে নীট ফেয়ার গার্মেন্টের পরিচালক মো. আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আব্দুর রব নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে উক্ত জমি ক্রয় করে নির্মাণ কাজ করছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথা স্বীকার করে তিনি জানান, মামলা আব্দুর রবের নামে হয়েছে। এ বিষয়টি উনিই দেখবেন। এছাড়া তিনি আব্দুর রবের কাছ থেকে কতটুকু জমি কিনেছেন এমন প্রশ্নেও তিনি ক্রয়কৃত জমির পরিমান জানাতে পারেননি। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে এক পর্যায়ে তিনি ব্যাংকের কাজের কথা বলে তাড়াহুড়া করে অফিস থেকে বেড়িয়ে যান। ##