শিরোনাম
লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের বিশাল অংশ দখল করছে প্রভাবশালীরা
বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে লাঙ্গলবন্দ ব্রিজের কাছে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকায় বালু ভরাট করে নদের ও সরকারী খাস জায়গা অবৈধভাবে দখল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্রক্ষপুত্র নদের বিশাল একটি অংশ বালু ভরাট করে দখলে নেওয়ার কর্মযজ্ঞ প্রকাশ্যে চালানো হলেও প্রশাসন নির্বিকার বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের সাবেক কর্মকতা সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় নদের তীরঘেঁষে নদের ও সরকারী খাস জায়গায় অবৈধ ভাবে বালু ভরাটের কাজ পরিচালনা করছে একটি বিশাল সিন্ডিকেট। গত এক সপ্তাহ ধরে অবৈধভাবে এ বালু ভরাট করে ব্রহ্মপুত্র নদের বিশাল একটি অংশ দখল করা হলেও প্রভাবশালী এ সিন্ডিকেটের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। প্রতিদিন অর্ধশত সন্ত্রাসী নিয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে চালানো হচ্ছে নদী দখলের কাজ । সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে লাঙ্গলবন্দ ব্রিজের সন্নিকটে প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম নদ দখল করে এ বালু ভরাট করছে। দিনেরাতে সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে মহড়া দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে এ বালু ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাঙ্গলবন্দ এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, একটি সিন্ডিকেটের সদস্যরা লাঙ্গলবন্দ এলাকায় বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষে সরকারি খাস জমি ও নদের জমি দখল করে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস করে না প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্মম অত্যাচার।
বালু ভরাটের দায়িত্বরত পাম্পের ম্যানেজার শাহীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি তো কম্পানির ম্যানাজার আমাদের ল্যান্ড ম্যানাজার আছে আপনি ওনার সাথে কথা বলেন।
জানতে চেয়ে ল্যান্ড ম্যানাজার আসাদুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ৪/৫ দিন হয়েছে কাজে জয়েন করছি, আমার চেয়ে ভাল আমাদের সিনিয়র ম্যানাজার আব্দুল ওহাব স্যার ওনি ভাল বলতে পারবেন বলে ফোন ধরিয়ে দেন। তিনি জানান এই জায়গা আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি, দলিল, পর্চা সবই আছে। আপনি সময় করে একদিন আইসেন সব কিছু দেখিয়ে দিবো এবং চা খেয়ে যাবেন। এ ব্যাপারে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এই বিষয়ে অবগত নই।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম জানান, এটি আমার নিজের জায়গা, রাস্তার কিভাবে আপনি বুঝেন না। আমি আমার জায়গা ভরাট করছি, নদের জায়গা না। এ বিষয় জানতে চেয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি.এম কুদরত-এ খুদা’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিপ করেন না। #