শিরোনাম
বিএনপি-জামাত স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বন্দরে সমাবেশ
বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে বিএনপি-জামাত ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র কর্তৃক সারা দেশে সমাবেশের নামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বন্দরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় বন্দর ১নং খেয়াঘাট এলাকায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এডঃ খোকন সাহা বলেন, বিজয় মাস ডিসেম্বর মাস। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব। ৭৫ এর বঙ্গবন্ধুর পরিবারে যারা শহীদ হয়েছেন সে সকল সদস্যদের। আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি জাতীয় ৪ নেতাকে। আমি শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করি ৩০ লক্ষ মা বোন যারা রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করি ভারতের ১৮ হাজার সৈন বাহিনী ও মিত্র বাহিনী সদস্যদের। যারা আমাদের দেশে স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করছি। এডঃ খোকন সাহা আরো বলেন, আমি শ্রদ্ধ সাথে স্মরন করছি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আমরা যারা তাদের ভাবশীর্ষ । স্বাধীনতার উত্তর বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সফল রাজিনিতীবিদ । সততার কিংবদন্তী এই এলাকার এক সময়কার সংসদ সদস্য আমাদের প্রিয় নেতা প্রয়াত একেএম সামছুজোহা। আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি যিনি এই এলাকার এক সময়ে সংসদ সদস্য ছিলেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে নববধূ স্ত্রীকে ফেলে রেখে অস্ত্র হাতে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে মাঠে নেমে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আমাদের দল করেননি। এই এলাকার মানুষের জন্য তিনি কাজ করেছেন। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিপদে তিনি সব সময়ে পাশে ছিলেন। আমার প্রিয় প্রয়াত নাসিম ভাইকে আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। ভাষা সৈনিক আমাদের প্রয়াত নেতা একেএম সামছুজোহা সাহেবের সহধর্মিনী আমার বন্ধু শামীম ওসমান ও বড় ভাই সেলিম ওসমানের মাতা নাগিনা জোহার আত্মার শান্তি কামনা করছি। বিজয়ের মাস আনন্দ উল্ল্যাস করার কথা। কথা ছিল বিজয় মাসের এক তারিখ থেকে আমরা আনন্দ উল্লাস করব। ডিসেম্বর ৩১ তারিখ পর্যন্ত আমাদের সে স্বপ্ন আমাদের সে আনন্দ উল্ল্যাসকে মেডাম খালেদা জিয়ার সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমাদেরকে আজ রাজপথে নামিয়েছে সে আনন্দ উল্লাসকে বাধ দিয়ে। ওরা গনতন্ত্রের কথা বলে। গনতন্ত্রের কথা বলে ওরা কয়েক হাজার লোককে ১৩-১৪ সালে হত্যা করেছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। ওরা কয়েক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। চলন্ত ট্রেনে আগুন দিয়ে ওরা মানুষ হত্যা করেছে। কোন মানুষ তাদের হাত থেকে বাঁচতে পারেনি। যারা আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে তারা আবার গনতন্ত্রের কথা বলে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত। ওরা খুনির দল ওরা গনতন্ত্রের কথা বলে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে আমাদের ১৭ হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করে আজকে ওরা গনতন্ত্রের কথা বলছে। প্রিয় ভাইয়েরা আমার ওদের হাত থেকে আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম.এস কিবরিয়া আমাদের গাজীপুরে আহসান উল্ল্যাহ মাষ্টার এমপি থাকা কালিন অবস্থায় ওদের হাতে মৃত্যু বরণ করে। খুলনার মঞ্জুরুল ইমাম ভাই ওদের হাতে মৃত্যু বরণ করে। নাটরের মমতাজ ভাইকে হত্যা করেছে। আমার ফতুল্লা আমার এক কর্মীকে হাতপা ভেঁধে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে হত্যা করেছে। শামীম ওসমানের পুলিং এজেন্ড হওয়ার কারনে আমার বোনদেরকে ফতুল্লাতে গনধর্ষন করেছে এই বিএনপিরা। ওরা আজকে গনতন্ত্রের কথা বলে। ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট তারেক জিয়া তত্ববধানে আমার নেত্রীকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। সে গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। বন্দর থানা যুবলীগ নেতা খান মাসুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়নগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন সাজনু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ এহসানুল হাসান নিপু। বন্দর থানা যুবলীগ নেতা ডালিম হায়দারের সঞ্চালনায় সমাবেশে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জি.এম. আরমান, একই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এডঃ মাহামুদা মালা, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ন কবির মৃধা, মহানগর সচ্ছোসেবকলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ দুলাল প্রধান, ও ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ। #