শিরোনাম
ধর্ষণের ডিএনএ জন্য লাখ টাকা ঘুষ দাবি | এসআইর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ আদালতে ধর্ষণের ডিএনএ রিপোর্ট দাখিল না করে মামলা আপোষ মিমাংসা করে দিতে আসামী পক্ষের কাছে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেড় লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেছেন। ফতুল্লা মডেল থানার এসআই গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে আসামীর পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের মাধ্যমে অভিযোগ করা হয়েছে। এরআগে গত বুধবার একই অভিযোগ স্বরাষ্ট সচিব, ডিআইজি, পুলিশ হেড কোয়াটারসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার কোতালেরবাগ এলাকার মহিউদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইউনুছ আলীর ছেলে রিপনকে (২৩) এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ২৫ আগষ্ট বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর থেকে রিপন এখন পর্যন্ত কারাগারে বন্দি রয়েছে। এরমধ্যে জামিন প্রার্থনা করায় আদালত ধর্ষণের ডিএনএ রিপোর্টসহ জামিন শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন। তখন মামলার তদন্তকারী অফিসারের কাছে ডিএনএ রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই গিয়াস উদ্দিন আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন। কিন্তু ডিএনএ রিপোর্ট তার হাতে থাকলেও তিনি নির্ধারিত সময়ে সেটি আদালতে দাখিল করেনি।
গত ১২ ডিসেম্বর এসআই গিয়াস উদ্দিনের কাছে ডিএনএ রিপোর্টের বিষয়ে খোজ খবর নিতে গেলে আসামীর বাবা ইউনুছকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এসআই গিয়াস উদ্দিন বলেন ডিএনএ রিপোর্ট দিয়ে লাভ কি? দেড় লাখ টাকা দাও ঘটনা মিমাংসা করে দেই। গিয়াম উদ্দিনের এসব কথা রেকর্ড করায় ইউনুসের পুত্রা মোঃ শামীমকে ২ ঘন্টা আটকে রেখে ফোন থেকে তার ঘুষ দাবির রেকর্ড ডিলিট করে দেয়। এছাড়া শামীমকে ছাড়তে ১০ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করে ও হুমকি দিয়ে বলেন এবিষয়ে কারো কাছে কিছু বললে ছেলের মত তুমিও মামলা খাবে।
অভিযোগকারী ইউনুছ আলী বলেন, আমার ছেলে বিনাদোষে ৪ মাস যাবত জেল খাটছে। পুলিশ একটু আন্তরিক হলে আমার ছেলে মুক্তি পেতো। আমি আমার অভিযোগের তদন্ত চাই। কারণ আমরা ইতিমধ্যে খবর নিয়ে জানতে পেরেছি ডিএন এ টেস্টের ফলাফলে আমার ছেলে ধর্ষক নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এসআই গিয়াস উদ্দিন বলেন, ডিএন এ রিপোর্ট ঢাকা সিআইডির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। সেখান থেকে প্রতিবেদন পেলে আমি সেটি আদালতে দাখিল এবং তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো। কিন্তু আসামী পক্ষ তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে আমাকে ডিএন এ প্রতিব্নে ছাড়াই আদালতে প্রতিবেদন দিতে বললে আমি অপপরগতা প্রকাশ করি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের আইনজীবীর পরামর্শে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছে। প্রকৃত সত্য হচ্ছে আসামী পক্ষের সঙ্গে আমার সামনা সামনি সাক্ষাতই হয়নি। #