শিরোনাম
বন্দরে খাল দখল করে বালু দিয়ে ভরাট । জলাবদ্ধতা আশংকায় ক্ষোভ
সহিদুল ইসলাম শিপু – বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার শত বছরের পুরোনো একটি খাল দখল করে বালু দিয়ে ভরাট করে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লি: তৈরি করার এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে । এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন খাল ভরাটে জলাবদ্ধতার সৃস্টির আশংকা করে বিষয়টি নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
খালটি ভরাট করা হলে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে, ফলে এলাকাবাসীকে দুর্ভোগের শিকার হতে হবে। তা ছাড়া, খাল নদী জলাশয় ভরাট করার বিষয়ে আইনি বিধিনিষেধ আছে, কেননা এসব কর্মকান্ডের ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ক্ষতিকর কাজে স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তি সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু বন্দরের খাল নয়, সারা দেশের এ রকম অনেক খাল, নদী দখলদারদের কবলে পড়ে হারিয়ে যাচ্ছে। খাল ও নদীর তীরে স্থাপিত শিল্পকারখানার বর্জ্যে বিষাক্ত হচ্ছে পানি। অন্যদিকে তীর দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় সংকুচিত হচ্ছে সেগুলো। ২০০০ সালে প্রণীত ‘প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন’ অনুযায়ী নদী, খাল, বিল, দিঘি, ঝরনা বা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ এলাকা এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে, এমন কোনো ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। অর্থাৎ সেগুলো ভরাট করা যাবে না। আইন অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এ আইনের যথাযথ প্রয়োগ হয় না বলে জানান সচেতন মহল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য হচ্ছে, খালটি দিয়ে আশপাশের একাধিক গ্রামের মানুষের বাড়িঘরের বৃষ্টির পানি পার্শ্ববর্তী নদে নিষ্কাশন হয়। খালটি দখল হয়ে গেলে এই গ্রামের মানুষ আগামী বর্ষা মৌসুমে তীব্র জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়বে।
এব্যাপারে বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এই খাল ভরাটে এলাকাবাসী জলাবদ্ধতার মধ্যে পড়বে, তাই আমিও চাই না খালটি ভরাট করা হোক। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি খালটি দখল মুক্ত করা হোক।
এব্যাপারে বন্দর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এ বি এম কুদরত এ খোদার বলেন, খাল ভরাট করার অধিকার কারো নেই, তা সরকারি কাজ হোক আর ব্যক্তি গত। আমি যারা খাল ভরাট করছে তাদের সাথে কথা বলে তা পুনরায় খনন করার ব্যবস্থা করবো। #