শিরোনাম
বিষাক্ত বর্জ্যে এতিম ছাত্রদের জন্য চাষ করা মাছ মরে ব্যাপক ক্ষতি
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরে ডংজি লংজিভিটি নামের একটি ব্যাটারি কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে । বন্দরের লক্ষণখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধিন এ পুকুরে লক্ষণখোলা দারুসসালাম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার এতিম ছাত্রদের জন্য মাছ চাষ করা হয়। এ মাছ মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের পুষ্টি পূরণে সহায়ক বলে এলাকাবাসী জানান।
এলাকাবাসী জানান, ব্যাটারি কারখানা থেকে অ্যাসিড মিশ্রিত বিষাক্ত পানি বর্জ্য হিসেবে পাইপের মাধ্যমে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলা হয়। পাইপের লিকেজ দিয়ে এ পানি পুকুরের পানিতে পড়ার কারণে পুকুরের পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে। ফলে মাছ মরে ভেসে উঠছে। এ পানি ওজু গোসলসহ প্রাত্যহিক কাজে মাদ্রাসা ছাত্র ও শিক্ষকরা ব্যবহার করেন।
এলাকাবাসী আরও জানান, ব্যাটারি কারখানার সিসাযুক্ত ছাই বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে ২৫ নং ওয়ার্ড বন্দরের লক্ষণখোলা, মুছাপুর ইউনিয়নের পাতাকাটা, দাসেরগাঁ এলাকার জমিতে ফসল হচ্ছে না, গাছে ফল ধরে না । প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন চোখের অসুখ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগবালাই দেখা দিচ্ছে। ব্যাটারি কারখানার থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরে একটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী দূষণের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রায় তিন চার মাস আগে এই ব্যাটারি ফ্যাক্টরির গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল৷ তবে তারা ইটিপি প্লান্ট স্থাপন করেছে বলে জেনেছি । প্রায় ১০০ ফুট উঁচু করে একটি চিমনি ও নির্মাণ করেছে তারা। #