শিরোনাম
আবাসিক এলাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে তৈরী হচ্ছে বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশ্রিত মশার কয়েল
মো: সহিদুল ইসলাম শিপু – বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে প্রশাসনের নজরধারীতা না থাকায় যেখানে সেখানে অবাধে গড়ে উঠছে নামে বেনামে নানা প্রকার মশার কয়েল কারখানা। এমন অভিযোগ তোলেছে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল। স্কুল, মাদ্রাসার ও আবাসিক এলাকায় মধ্যে তৈরী করা হচ্ছে বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশ্রিত মশার কয়েল।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিএসটিআই অনুমদন না নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় ও বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবাধে তৈরি হচ্ছে বিষাক্ত মশার কয়েল। স্কুল ও মাদ্রাসার পাশে এবং আবাসীক এলাকার মধ্যে মশার কয়েল কারখানা তৈরি হওয়ার কারনে কয়েল তৈরির বিষাক্ত ক্যামিকেলের র্দূগন্ধে স্বাস্থ্যে ঝুকিতে পরতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর। আবাসিক এলাকার মধ্যে ও স্কুল, মাদ্রাসার পাশে কারখানার অনুমতি দেয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। ২১ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাহেলা ট্রেডিং মাস কিং কয়েল কারখানা, বকুল দাশেরবাগ মাদ্রাসা সংলগ্ন সাব্বির ক্যামিকেল কয়েল কারখানা ও নিমাই বাবুর কয়েল কারখানা, হাজীপুর এলাকার কয়েল কারখানাসহ একাদীক কারখানা রয়েছে এ কারখানার বিষাক্ত বায়ুদুষনে পরিবেশ বির্পযসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
এ ছাড়াও অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে শুকানো হচ্ছে মশার কয়েল। ফ্যাক্টরীর পাশে থাকা বাসিন্দারা বলেন, ফ্যাক্টরীর ভেতর থেকে বিষাক্ত প্রবাহ আমাদের নিশ্বাসের সাথে মিশে যায়। এতে আমাদের নিশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়। আবাসীক এলাকার মধ্যে ও স্কুল মাদ্রাসার পাশে এ কারখানা গড়ে তুলায় ব্যপক স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। কারখানার লোকেরা জানান, এক বছর আগে ভ্রাম্যমান আদালত আমাদের কারখানা সীলগালা করে দিয়ে ছিলো আবার তারাই চালাতে বলেছে। এব্যপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম কুদরত এ খোদা বলেন, বন্দর উপজেলায় গড়ে উঠা বিষাক্ত ক্যামিকেল মিশ্রিত মশার কয়েল কারখানা গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সীলগালা করে, কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #