‘রাসুলের আদর্শ অনুসরণেই মানবজাতির মুক্তি’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘রাসুলের (সা.) আদর্শ অনুসরণের মাঝেই মানবজাতির কল্যাণ ও মুক্তি নিহিত আছে। ইসলামী শরিয়ত ও সৃষ্টির সেরা নবী মুহাম্মদের (সা.) মাধ্যমে অন্যান্য শরিয়ত ও আম্বিয়ায়ে কেরামের ধারাকে সমাপ্ত করা হয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত মুহাম্মদকে (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য আদর্শ, অনুকরণীয় ও রহমতস্বরূপ শেষ নবী ও সব নবী-রাসুলের ইমাম হিসেবে পাঠিয়েছেন।’শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে জাতীয় সীরাতুন্নাবী (সা.) সম্মেলন উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আয়োজিত আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।চরমোনাইর পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘রাসুল (সা.) হচ্ছেন ন্যায়বিচারক, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশক্রমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দিকে আহ্বানকারী ও উজ্জ্বল প্রদীপস্বরূপ। সুতরাং দুনিয়ার তথাকথিত ও প্রচলিত তন্ত্রমন্ত্র কখনোই মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। মানবজাতির কল্যাণ ও মুক্তি একমাত্র রাসুলের (সা.) আদর্শ অনুসরণের মাঝেই নিহিত।’ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন—বিশিষ্ট সীরাত গবেষক ও জাতীয় ইকরা বাংলাদেশের মহাপরিচালক আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, ভারতের বিশিষ্ট সীরাত গবেষক আল্লামা ফয়সাল আহমাদ ভাটকলী নদভী, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, শায়খ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহিল বাকী আন-নদভী, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, নন্দিত লেখক মাওলানা যাইনুল আবিদীন, সীরাত গবেষক মাওলানা নাসীম আরাফাত, সীরাত গবেষক মাওলানা আহমদ বদরুদ্দিন খান, বিশিষ্ট গবেষক মাওলানা ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা মুসা আল হাফিজসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।ইডেন কলেজের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘তথাকথিত তন্ত্রমন্ত্রের রাজনীতির খপ্পড়ে পড়ে মেয়েদের অবস্থা আপনারা সবাই দেখেছেন। বাবা-মা পাঠিয়েছে লেখাপড়ার জন্য, আর তারা কীইবা শিখছে। তাদের চরিত্রের অবস্থা সম্পর্কে কম-বেশি সচেতন নাগরিক সবাই আজ শঙ্কিত। এই যদি হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর শিক্ষার্থীদের অবস্থা, তাহলে এদের কাছ থেকে জাতি কী আশা করবে।’তিনি বলেন, ‘বর্তমানে নারীবাদীরা হিজাব-বোরখার বিষয়ে আপত্তি তোলে। কিন্তু, ইডেন কলেজে আমাদের মেয়েদের ইজ্জত-আব্রুর ব্যাপারে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ বা আলোচনা নাই। সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে কারো টু শব্দ পর্যন্ত নাই। আসলে ওরা নারীদের অধিকার চায় না, ভোগের বস্তু বানাতে চায়।‘ তিনি সবাইকে ইসলামী আদর্শের সুশীতল ছায়ায় জীবনধারণের আহ্বান জানান।