দেউলিয়াত্বের দিকে যাচ্ছে দেশ: জিএম কাদের
অর্থনৈতিক সঙ্কটে দেশ দেউলিয়াত্বের দিকে চলে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন। জিএম কাদের বলেন, দেশ দেউলিয়াত্বের দিকে চলে যাচ্ছে। ৪-১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ে দেশের মানুষ অসহনীয় কষ্ট ভোগ করছেন। ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের জায়গায় ২০ হাজার উৎপাদনের প্রস্তুতি আছে। কিন্তু টাকার অভাবে জ্বালানি তেল কিনতে পারছে না সরকার। বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম কমেছে। টাকার অভাবে তাও কিনতে পারছে না সরকার।এরআগে, দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের (বিএইচআরসি) নির্বাহী সম্পাদক ও এফবিসিসিআই’র সদস্য মির্জা শাহাদাৎ হোসেন এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের (বিএইচআরসি) সাধারণ সম্পাদক (আন্তর্জাতিক বিশেষ প্রতিনিধি) গোলাম কিবরিয়া মোল্লা জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে পার্টিতে যোগ দেন।এসময় বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আনিস উল ইসলাম মন্ডল, ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, বেলাল হোসেন, মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, আবু জাফর মো. অলিউল্লাহ চৌধুরী মাসুদ, মাখন সরকার, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান।গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হওয়ার আগে সে দেশে লোডশেডিং ছিল। ডলারের দাম বেড়েছিল, জ্বালানি তেল কিনতে পারেনি। আবার নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছিল অস্বাভাবিক হারে। ঠিক একই চিত্র বাংলাদেশে। এখানেও ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমছে। ডলারের অভাবে জ্বালানি তেল কিনতে পারছে না সরকার। বিদ্যুতের অভাবে শিল্প কলকারখানা চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না, উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এতে কাজ হারিয়ে অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছে। টাকার দাম কমে যাওয়ার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। আবার শ্রীলঙ্কায় মতই মেগা প্রকল্পে লক্ষ-কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। একই সময়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে।গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা হামলা ও মিথ্যা মামলার কারণে ঘরে থাকতে পারছে না অভিযোগ করে কাদের বলেন, সরকার সমর্থকরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড করে জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। গাইবান্ধায় হাজার হাজার বহিরাগত সন্ত্রাসী ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে। আবার প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা সরকারী দলের আনুকূল্য পেতে ব্যস্ত হয়ে আছেন। আসলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন চলছে। নেত্রকোনায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জাতীয় পার্টি নেতা আসমা আশরাফের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে সরকার সমর্থকরা। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। আবার, পিরোজপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রার্থীকে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে সহায়তা করার কারণে তুশখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামকে কিছু হয়রানিমূলক মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগে এমন একটি মামলায় হাজিরা দিতে যাচ্ছিলেন সফিকুল ইসলাম। পথিমধ্যে তাকে মোটরবাইক থেকে নামিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে একটি পা বিচ্ছিন্ন করেছে সরকার সমর্থকরা। সে এখনও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হক নুরু, দ্বীন ইসলাম শেখ, কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ আজাদ খুররুম ভূঁইয়া, ঝুটন দত্ত, ওহিদুজ্জামান মোহন, মোখলেছুর রহমান বস্তু, আনোয়ার হোসেন শান্ত, ওমর খান মান্নান, জাকির হোসেন খান, ইলোরা ইয়াসমিন, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, রাকিন আহমেদ, নাজমিন সুলতানা তুলি, আব্দুস সালাম লিটন, বজলুর রহমান মৃধা প্রমুখ।