শিরোনাম
বক্তাবলীতে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ফেস্টুন ভাংচুরকারীদের বিচার দাবী
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের ছবি সম্বলিত শফিক মাহমুদের ফেস্টুন ভাংচুর ও নামিয়ে ফেলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা।
নাম প্রকাশ না করে নেতাকর্মীরা জানান,শফিক মাহমুদ বিএনপি – জামায়াতের রাজনীতি করেনা।
তিনি আওয়ামী লীগের সাচ্চা নেতা। তার মরহুম পিতা সামসুজ্জোহা এমপির রাজনীতি করে এসেছেন। বক্তাবলীতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে শফিক মাহমুদের পিতা একজন। পিতার পদাংক অনুসরন করে শফিক মাহমুদ বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এবং বর্তমানে সভাপতি প্রার্থী। এটা দোষের কিছু নয়। শফিক মাহমুদের ফেস্টুন ব্যানার থাকতে পারে এটা স্বাভাবিক।
গত শুক্রবার স্থানীয় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু বলে পরিচিত সুলতানের পুত্র মোঃ জুয়েল ও বদুর পুত্র আকাশ সহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন ভাংচুর করে নামিয়ে ফেলে।
এ ঘটনায় পুরো বক্তাবলী জুড়ে তীব্র আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান নেতাকর্মীরা।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহমুদ ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বেশ কিছু ফেস্টুন ও ব্যানার বক্তাবলী ফেরিঘাট হতে বিভিন্ন এলাকায় সাটিয়ে দেন।
স্থানীয় দুর্বৃত্ত জুয়েল, আকাশ এর নেতৃত্বে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত শফিক মাহমুদের টানানো ফেস্টুন ভাংচুর করে ছিড়ে ফেলে এবং নামিয়ে বক্তাবলী বাজারস্থ আওয়ামী লীগের অফিসে রেখে দেয়।
এ নিয়ে বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
তারা নাম প্রকাশ না করে বলেন, যে বা যারা এ জঘন্য কাজ করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও দলের জন্য ক্ষতিকর। এদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামীতে এরকম কার্যক্রম আরো ব্যাপকভাবে পরিচালিত হবে। এতে করে দলের ভিতর বিরোধ ও মনোমালিন্য বৃদ্ধি পাবে ও দল হবে ক্ষতিগ্রস্ত।
এ ব্যাপারে শফিক মাহমুদ পিন্টু বলেন, শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর সকালে জুয়েলের নেতৃত্বে কয়েকজন দুর্বৃত্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় জননেতা সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে ও বিভিন্ন জায়গায় লাগানো ফেস্টুন নামিয়ে ফেলে। আমি লোক মারফত জানতে পেরেছি। এটি একটি অত্যন্ত জঘন্যতম কাজ। যারা এ কাজের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দল কোন ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে এরকম কার্যক্রম বেশী করে হবে। আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
আমি এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলীর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। #