শিরোনাম
রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
নিজাম উদ্দিন আহমেদ-রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাসায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়েছে। আহতদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন দ্বগ্ধকে আইসিউতে নেওয়া
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত ১১ টার দিকে রূপগঞ্জের আউখাব খালপাড় এলাকায় জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন হাসনু বানু (৫৫), তার স্বামী আলি আহমেদ (৬৫), ছেলে ওমর ফারুক (১৮), মেয়ে সাহারা বেগম (২৪) ও ভাই সোনাউদ্দিন (৪৫)।
হাসপাতালে হাসনু বানুর ভাতিজা মো. নূরে আলম জানান, রূপগঞ্জের তিন তলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন তারা। হাসুন বানু গৃহিণী, তার স্বামী ও ভাই গাউছিয়া বাজারে শুটকির দোকান রয়েছে। এ ছাড়া মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তারা সুনামগঞ্জের বাসিন্দা, এখানে জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।
তিনি আরও জানান, বাসাটিতে লাইনে তেমন গ্যাস থাকে না। সেজন্য রান্নার কাজে গ্যাসের চাপ বাড়াতে ২ সপ্তাহ আগে একটি যন্ত্র রুলার ( কমপেসার) লাগিয়েছে। রাতে তারা যখন বাসাটিতে ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ওই গ্যাস লাইন থেকেই এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে তাদের ধারণা।
দুর্ঘটনার পরপরই প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ইউএস-বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে মধ্যরাতে তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ভাগ্যক্রমে দুর্ঘটনার সময় হাসুন বানুর বড় ছেলে গার্মেন্টস কর্মী ফরমুজ (২২) বাসায় না থাকায় তিনি রক্ষা পান।
পাশের বাড়ী মোঃ রাকিব জানান, এগারোটা পাঁচ মিনিটে হঠাৎ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং দেখতে পান, অগ্নি অদগ্ধ হয়ে পরিবারের সবাই পুড়ে গেছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, হাসুন বানুর শরীরের ৪৬ শতাংশ, তার স্বামী অলি আহমেদের ৫৮, মেয়ে সাহারার ৩০, ছেলে ওমর ফারুকের ১৫ এবং ভাই সোনাউদ্দিনের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাই গুরুতর।#