শিরোনাম
সরকার ত্বকীর ঘাতকদের নিরাপত্তা দিয়ে দেশে দুর্বিত্তায়ন প্রতিষ্ঠা করেছে – রফিউর রাব্বি
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ ত্বকী হত্যার বিচারহীনতার প্রতিবাদে ১২৮ মাসে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচী পালনের সময় সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন,
সরকার ত্বকীর ঘাতকদের নিরাপত্তা দানের মধ্যদিয়ে দেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক দুর্বিত্তায়ন প্রতিষ্ঠা করেছে। সরকার বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, জনগণের সাংবিধানি মৌলিক অধিকারকে ভূলুন্ঠিত করেছে, রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, জনগনের ভোটাধিকার ও বাক-স্বাধীনতাকে ধ্বংস করেছে। সরকার নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এই মাফিয়াতন্ত্রের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের বৈতরনী পার হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ১২৮ মাস উপলক্ষে বুধবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে নারায়ণগঞ্জ আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন প্রাঙ্গণে আলোক প্রজ্জালন কর্মসূচিতে তিনি এসব তথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ত্বকী হত্যার এগার বছর হতে চলল অথচ তৈরী হয়ে থাকা অভিযোগপত্রটি আদালতে পেশ করা হলো না। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে মানুষ বিচারহীনতার বিরুদ্ধে ভোট দেবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে, মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে, ভাত ও ভোটের অধিকারের পক্ষে ভোট দিবে। খবরের পাতার সম্পাদক এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে ত্বকীর ঘাতকদের পক্ষ নিয়েছেন। ঘাতক ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জকে জিম্মি করে রেখেছে। এই মাফিয়ারা সরকারের, প্রশাসনের প্রশ্রয়ে নারায়ণগঞ্জ দাপিযে বেড়ায়।
সংগঠনের সভাপতি এড. জিয়াউর ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি রথীন চক্রবর্তী, মন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব কবি সাংবাদিক হালিম আজাদ, ন্যাপের জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, বাসদের জেলা সংগঠক এস.এম কাদির, সাংস্কৃতিক জোটের সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৬৪ ধারায় নাম আসার পরেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয় না এমনি উদাহরণ ত্বকী হত্যার ক্ষেত্রে ছাড়া আর কোথাও নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। এর দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৫ মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চারসেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। অচিরেই তারা অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করবেন। কিন্তু সে অভিযোগপত্র আজো আদালতে পেশ করা হয় নাই। ত্বকী হত্যার পর থেকে বিচার শুরু ও চিহ্নিত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতি মাসের ৮ তারিখ আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট। #