শিরোনাম
নগরীতে ঘুরে ঘুরে মদ ও মাদক বিক্রি করে তারা !
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ সদরের ৪নং ডিআইটি এলাকায় সাবেক কাঠপট্রি এলাকার মৃত.কালাচানের ছেলে মিঠু’র দুই ছেলে টুটুল ও অতুল এবং সহযোগি নয়নের মদ বিক্রি কোনভাবেই বন্ধ করতে পারছেনা পুলিশ প্রশাসন। ইতিপুর্বে মাদক ও মদসহ একাধিকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো মিঠু। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন উক্ত কাঠপট্রি এলাকা থেকে উচ্ছেদ করা হলে পরবর্তীতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কাওটাইল জেলেপাড়া এলাকায় বাড়ি নির্মান করে বসবাস শুরু করলেও এখনও নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি ও মাসদাইর পৌর শ্মশানের ভেতরে নিয়মিতভাবে মদ ও বিভিন্ন প্রকার মাদক বিক্রি করছে মিঠুর ছেলে টুটুল,অতুল ও সহযোগি নয়ন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মিঠুর বড় ছেলে টুটুল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করে। ভোররাত হতে শহরের পরিচ্ছন্ন কাজ শেষে দিনের আলোতে ছোটভাই অতুল ও সহযোগি নয়নকে নিয়ে নগরীর বিভিন্নস্থানে চোলাই মদ সাপ্লাই করে বেড়ায়। পাশাপাশি মাসদাইরে পৌর শ্মশানে চোলাই মদ ও মাদক সরবরাহ করছে অতুল,টুটুল ও নয়নগং। পৌর শ্মশানে আগত নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, এখানে আসা কিছু লোক রয়েছেন যাদের কেউ মৃত্যুবরন করলে নিয়ম অনুযায়ী তারা মদপান করেন শ্মশানের ভেতরে। আর শ্মশানের ভেতরে এ সকল মদগুলো সাপ্লাই দেয় মিঠুর ছেলে অতুল,টুটুল ও নয়ন। তারা বিভিন্ন কৌশলে এ সকল মাদকগুলো শ্মশানসহ নগরীর বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করে থাকে। বিশেষ করে পায়ের মধ্যে ইলাষ্টিকের সাহায্যে সুকৌশলে তারা এগুলো বহন করে যা দেখে কারোর বুঝার কোন উপায় থাকেনা। টুটুল ও অতুলের পিতা মিঠুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকা সত্তে¡ও এখনও নির্বিগ্নে সন্তানদের দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন এ অবৈধ ব্যবসা। এ বিষয়ে ইতিপুর্বে স্থানীয় গনমাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলেও মাদক বিক্রি বন্ধ কিংবা তাদেরকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।
শ্মশানে আগত অনেকেই বলেন, টুটুল ও অতুলগংদের কারনে এখানে প্রায় সময়ে ঝগড়া-বিবাদের মত ঘটনা ঘটে থাকে। শ্মশানের মত একটি জায়গাকে পুরো মাদক সেবীদের অভয়ারন্যে পরিনত করে তুলেছে মিঠুপুত্র টুটুল ও অতুলগংরা। আমরা চাই শ্মশানসহ পুরো নগরীকে টুটুল ও অতুলগংদের মদসহ মাদকের ভয়ালগ্রাস থেকে বাচাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ জেলা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।#