হায় হায় কোম্পানীর হাসপাতালের মেশিনারীজ বিক্রি | জানেন না ভবন মালিক !
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরে হায় হায় কোম্পানী খ্যাত কথিত মায়ের ছায়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি’র অধীনে পরিচালিত বন্দর জেনারেল হাসপাতালের মেশিনারীজ সরঞ্জামসহ বিভিন্ন মালামাল অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে হাসপাতাল মালিক নিপু দাস। ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রাহকদের জমাকৃত অর্থের ৬০ভাগ পরিশোধের শর্তে এসব মালামাল সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন জনৈক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি কাজী শহীদ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে সমিতির গ্রাহকদের অনেককেই ভিড় জমাতে দেখা যায়। পাশাপাশি মালামাল অপসারণকালে বহিরাগত ছিঁচকে প্রকৃতির লোকজনকেও হাসপাতালের বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে কেটে পড়তে দেখা যায়।
এদিকে কোন প্রকার অনুমুতি না নিয়ে মনগড়াভাবে মালামাল অপসারণের অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতালের ভবন মালিক মোঃ মামুন মিয়া। মামুন মিয়া জানান, আমার ভবনের তালা ভেঙ্গে কে বা কারা জোরপূর্বক লুট করে মালামাল নিয়ে যাচ্ছে অথচ আমি জানিনা। আমাকে না জানানোর কারণে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তারা তাদের মালামাল বিক্রি করবে না কি করবে সেটা তাদের ব্যাপার কিন্তু আমিতো বিল্ডিংয়ের মালিক তারা মালামাল নিবে আমাকেতো অন্ততঃ জানাতে পারতো। অপরদিকে গ্রাহকদের পক্ষে দায়িত্ব নেয়া আওয়ামীলীগ নেতা কাজী শহীদ জানান,গ্রাহকরা অধিকাংশই গরীব মানুষ। তারা অনেকেই আমার দ্বারস্থ হয়েছে যে কারণে মানবিক কারণে আমি দায়িত্বটা নিয়েছি নইলে নিরীহ গ্রাহকরা তাদের পাওনা আদায় থেকে বঞ্চিত হতো। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মালামাল লোড কিছুক্ষনের জন্য বন্ধ রাখলেও পরবর্তীতে তা চালু করে দেয়া হয়। প্রসঙ্গতঃ, মায়ের ছায়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড এর পরিচালক নিপু দাস, তার পিতা শিবু দাস, অপর পরিচালক মো. হোসেন, বাদল, সোহেল ও মামুন গত ৩ বছর ধরে বন্দরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৪ হাজার গ্রাহককে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
উল্লেখিত এলাকার রিকশা চালক, মাঝি ও দিনমজুর প্রকৃতির লোক সমিতির বেশির ভাগ সদস্য। বন্দর জেনারেল হাসপাতালের পার্টনারশিপের প্রলোভন দেখিয়ে হাসপাতালের পরিচালকরা সমিতির নামে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। পরে তারা জানতে পারেন পুরোটাই প্রতারণা। দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত সমবায় সমিতির গ্রাহকেরা উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান থেকে কোন সুবিধা না পেয়ে টাকা জন্য সমবায় সমিতিকে চাপ প্রয়োগ করলে এক পর্যায়ে ৬ পরিচালকের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরিচালক গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় উত্তেজিত গ্রহকেরা সে সময় বন্দর জেনারেল হাসপাতাল ঘেরাও করে নাটের গুরু প্রতারক নিপু দাসকে প্রায় ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে সাধারন গ্রহকদের বলেন, যে সব সদস্যদের অল্প টাকা জমা আছে তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে দিবে। এবং যাদের বেশি টাকা তাদের সাথে কথা বলে তাদের টাকা ফেরত দিবে। এরপর সদস্যরা ঘেরাও তুলে নেন।#