বুদ্ধিজীবী দিবসে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের পুষ্পস্তবক অর্পণ আলোচনা সভা
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার উদ্যেগে শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেন পুস্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় চাষাঢ়া শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং ২নং রেলগেটস্থ জেলা কার্যালয়ে বেলা ১১টায় আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয় ।
বৃহস্পতিবার দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার আহবায়ক ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্যসচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছাত্রনেতা মুক্তা বাড়ৈ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক নাছিমা আক্তার, সদস্য রোকন মিঞা প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজকের দিনেও খুব প্রাসঙ্গিক। বিজয় দিবসের ঠিক দুইদিন আগে পাকিস্তানি শাসকরা যখন বুঝতে পারলো যে বাঙালিদের বিজয় সুনিশ্চিত, তখন আল বদর, আল শামস বাহিনী বাঙালিদের বুদ্ধিভিত্তিক কর্মপ্রক্রিয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক, লেখক, গবেষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়।
নেতৃবন্দ বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ৫২ বছরেও পূর্ণ হয় নি। মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্খা গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা- পুজিবাঁদিদের দ্বারা ভুলুন্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতাকারী মৌলবাদি শক্তির সাথে শাসকদের আপসের ফলে আজ তারা মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থি। মুক্তিযুদ্ধে মানুষের আকাঙ্খা ছিলো সর্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক স্যেকুলার বৈষম্যহীন একই পদ্ধতির গনতান্ত্রিক শিক্ষা। কিন্তু স্বাধীনতার পরে সরকারগুলো শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরন সাম্প্রদায়িকীকরণ করেছে। শিক্ষাকে কেনা বেচার পণ্যে পরিনত করেছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ব্যাপক বৈষম্য। গনতন্ত্র ও ভোটের অধিকারকে হত্যা করে আওয়ামী সরকার ফ্যাসিবাদি শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। জনমত উপেক্ষা করে আওয়ামীলীগ আরেকটি এক তরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে। দেশের ক্রিয়াশীল অধিকাংশ দল এ নির্বাচনে অংশ নেয় নি। নেতৃবৃন্দ দেশবাসীকে এই প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের আহবান করেন এবং অবিলম্বে আওয়ামী সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি করেন। #