শিরোনাম
হাতজোড় করে বলবো আপনেরা ভোট দিতে যাবেন – সেলিম ওসমান
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের লাঙ্গলের প্রার্থী একে এম সেলিম ওসমান গোগনগরে উঠান বৈঠকে বলেন,অনেকে বলে সেলিম ওসমান ৮০% কাজ করেছি কিন্তু আমি বলবো আমি ২০% কাজ করেছি। এখানে ৬ তলা ভবনেত কাজ হবে। এটা ইউনিভার্সিটির আদলে একটা স্কুল এন্ড কলেজ করবো ইনশাআল্লাহ।যতই ভালোবাসা বলেন না অভাব যখন আসে না সব দরজা দিয়া পালাইয়া যায়। আমাদের বিরোধীরা আজকে অবরোধ দেয়। বলে গ্যাস বিল দিবা না। অবরোধ দিয়া পেয়াজের দাম বেড়ে যায়। টুকায় দিয়ে বাসে আগুন দেয়। আপনেরা তাদের কথা শুনবেন না।আজকে জাতীয় পার্টি বা আওয়ামী লীগ বলে কোন ভেদাভেদ নাই।
আমাদের মধ্যে একটু সমস্যা হয়েছিলো কিন্তু তা মিটিয়ে নিয়েছি। এখানে যদি দেখেন জাতীয় পার্টি ২০ জন আওয়ামী লীগের ৮০ জন মানুষ আছে। আগামীকাল থেকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মিলে মিশে কাজ করবে। আমরা যদি জাতীয় পার্টি আর আওয়ামী লীগ মিলেমিশে কাজ করি তাহলে তাহলে সুন্দর দেশ গড়ে তুলা সম্ভব।
২৫ ডিসেম্বর সোমবার বিকেল ৪টায় গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলীর আয়োজনে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি এই কথা বলেন।
উঠান বৈঠকে লাঙ্গলের প্রার্থী সেলিম ওসমান বলেন,আমি এখানে নতুন না। এই এলাকায় আমার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে এই এলাকায় আমার শেষ মিটিং। আমি সিটি কর্পোরেশন সহ ৭টি ইউনিয়নের কাজ শেষ করেছি। আমার ভোটারের সংখ্যা পৌনে ২ লক্ষ ভোটার আমার কথা শুনেছেন। এমন কোন মা বোন নেই যে আমার কথা শুনেন নাই।
গোগনগরের আমার মা বোনেরা আমার কথা শুনতে এসেছে।আমি নির্বাচন করতে চাইনি কিন্তু আমি বলেছিলাম নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন নৌকা কিন্ত আমার আপা বললেন নির্বাচন করতে তাই আমি লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করেছি। আমি কখনো কারো কাছে মাথা নত করি নাই। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আমি কারো কাছে মাথা নত করি নাই। কিন্ত আপনাদের ভালোবাসার কাছে আমি মাথা নত করি।
তিনি আরো বলেন,আমি গত মাসেও অসুস্থ্য ছিলাম। আমি সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি আমার জন্য কত মানুষ দোয়া করেছেন। এত মানুষের ভালোবাসা আমি কখনো জানতাম না। তাই আমি ভাবলাম আমি আরেকবার নির্বাচন করি। আজকে কিন্তু নির্বাচন আমার না। নির্বাচন আপনাদের। আপনেরা অনেকেই স্বাধীনতা দেখেন নাই। ২১ বছর স্বাধীনতা বলি দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার দাদা,বাবা,আমার বড় ভাইও কিন্তু নির্বাচন করেছেন এবং এমপি হয়েছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য যে, আমি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি অত্যন্ত পবিত্রতম জায়গা। যার ডাকে আমরা স্বাধীনতা এনেছি তার নামে এই স্কুল সেখানে দাঁড়িয়ে আছি।যখনই আমাকে ডাক দেন আল্লাহতালার রহমতে আমি আপনাদের পাশে দাঁড়াবো ইনশাআল্লাহ।
সেলিম ওসমান বলেন, মা বোনেরা আমায় দেখে গালাগালি করে বলে ভোট আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যান কিন্তু আমাদের গ্যাস দেন না। গ্যাস হচ্ছে আল্লাহর দান। আমরা গ্যাস প্রতিদিন ব্যবহার করেছি। গ্যাস জ্বালিয়ে আমরা কাপড়চোপড় শুকিয়েছি। সারাদিন গ্যাস জ্বালিয়ে রেখেছি। কিন্তু ইনশাআল্লাহ আগামীতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নতুন গ্যাসের উত্তোলন করেছেন।
ভোট দিতে যাবার অনুরোধ জানিয়ে সেলিম ওসমান বলেন, আপনেরা আগামী ৭ তারিখ ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আমি তো মানুষ। আমি শয়তান না। আমি জানি না আমার পক্ষে কয়জন ভোটে দাঁড়িয়েছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধরা না বলেই যুদ্ধে চলে গেছেন। কোন একজন বলেছেন আমরা আমরা নাকি নির্বাচন করছি। গতবার তাদের কয় জন নির্বাচন করেছেন জিতেও ছিলেন কিন্তু পরে আর তারা যান নাই। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনেরা ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। সকলের কাছে হাতজোড় করে বলবো আপনেরা ভোট দিতে যাবেন। ভোট দিবেন। আবারো আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী করে পুনরায় ক্ষমতায় আনবেন। আমরা সবাই ভোট দিবো। আমরা এই স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা একটা সিল দিয়ে ভোট দিবো আমাদের অধিকার আমরা পালন করবো।
এসময় উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, জাতীয় কৃষকলীগের সভাপতি এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজির উদ্দিন আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, নাসিক ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম মুন্না, সদর থানা যুবলীগের সভাপতি শাহীন সরকার।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, গোগনগর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃআজিজ মাস্টার, মোঃ জসিম উদ্দিন, আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলীনুর মোল্লা, আওয়ামী লীগ নেতা এবি এম আজহারুল ইসলাম, রোস্তম আলী মোঃমুক্তার সুকুম, গোগনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজর আলী,আলীটেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূর হোসেন সওদাগর, গোগনগর ইউপি সদস্য বাপ্পি মোঃ আলী, মোঃ কাবিল হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ বিপ্লব হোসেন, মোঃ রুবেল আহম্মেদ, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন,মোঃ তাওলাদ হোসেন, খোদেজা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন, লিপি প্রমুখ। #