নারায়ণগঞ্জ- ১ আসনে নৌকা ও কেটলি প্রতীকের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ রূপগঞ্জের রাজনীতির ময়দান দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই রূপগঞ্জে নৌকা ও কেটলি প্রার্থীর ভোটারদের মধ্যে চলছে জোরালো সমালোচনা। রুপগঞ্জ জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে নৌকা ও কেটলি প্রতীক প্রার্থীদের মধ্যে। উভয় প্রার্থী তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ভোটারদের মধ্যে টাকা বিলি করার ও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও কেটলি প্রতীকের সমর্থকরা বলছে আলাহাজ শাহজাহান ভূইয়া দেশের পোলা, সে যতই দোষ ত্রুটি করুক তাকেই আমরা ভোট দিব।
এভাবেই সাজ সাজ রবে স্থানীয় ভোটারদের মাঝে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে শাহজাহানের সমর্থকরা।অন্যদিকে গোলাম দস্তগীর গাজী নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা রয়েছে নিরব। ইতিমধ্যে এ দুই প্রার্থীর সমর্থকরাই সমানভাবে দোষী হচ্ছে টাকা বিলি করার অভিযোগের মধ্য দিয়ে।গোলাম দস্তগীর গাজীর অভিযোগ ভূমিদস্যরা রূপগঞ্জে এক পুতুল এমপি প্রার্থীর সমর্থন করে কোটি কোটি টাকা ছড়িয়ে দিচ্ছে ভোটারদের মাঝে। তাদের একটাই উদ্দেশ্য আগামীতে পুতুল এমপি নির্বাচিত করতে পারলে এই ভূমিদস্যদের হাতে রূপগঞ্জকে হস্তান্তর করে দিবে আর হাতিয়ে নিবে কোটি কোটি টাকা।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ছেয়ে গেছে নির্বাচনী পোষ্টার ও ব্যানার৷ বইছে নির্বাচনী হাওয়া: নির্বাচনী মাঠে ৯ প্রার্থী, ৪ জন সক্রিয়, ৫ জন নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সক্রিয় চারজনের মধ্যে নৌকা ও কেথলির প্রার্থীদের মধ্যে টাকা লেনদেনের অভিযোগ ওঠে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সকল অভিযোগ স্থান করে নেয় পত্রিকার পাতায়।উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লার অলিতে-গলিতে চলছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
এ আসনে ৯ জন প্রার্থী। দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে ৫ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪জন। কেউ মাইকিং করে ভোট চাচ্ছে। অনেককে লিফলেট বিতরণ করে গণসংযোগ করতে দেখা গেছে।এদের মধ্যে প্রচারে শীর্ষে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের পরপর তিনবার নির্বাচিত সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পরপর তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান ভুইয়া। জাতীয় পাটির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের সাইফুল ইসলাম। তৃণমূল বিএনপির মনোনিত সোনালী আঁশ প্রতীকের তৃণমূল বিএনপি মহাসচিব এড. তৈমুর আলম খন্দকার। এরা চারজনেইসকাল থেকে রাত পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লার অলিতে-গলিতে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগ করে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন।এরা আলোচিত চারজনই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করলেও নিরব রয়েছে বাকি পাঁচজন। ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীনকে জাতীয় পার্টির থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।বাকি প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের মনোনীত মোমবাতি প্রতীকের একেএম শহিদুল ইসলাম, জাকের পার্টির মনোনীত গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. জোবায়ের আলম ভূঞা, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের গাজী গোলাম মর্তুজা, আলমারি প্রতীকের মো. হাবিবুর রহমান, ট্রাক প্রতীকের মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত তিন তিন বার নির্বাচিত সাংসদ ও রূপগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক প্রচারণায় রয়েছে শীর্ষে। তিনি এবার নিয়ে চার বার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান। এ উপজেলার উন্নয়ন নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আবারও শতভাগ জয়ের আশা নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচন সূত্রে জানা যায়, ২৩ হাজার ৪৭৬ বর্গ কিলোমিটার উপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ২২২ টি গ্রামে ভোটার সংখ্যা হলো ৩,৮৫,৬১৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১,৯৬,৮৯৪ এবং মহিলা ভোটার ১,৮৮,৭২০ জন। এখানে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১২৮টি। #