ত্বকী হত্যার ১৩০ মাস ও ঘাতকদের বিচার শুরুর দাবিতে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচী
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ১৩০ মাস উপলক্ষে ও চিহ্নিত ঘাতকদের আইনের আয়তায় এনে বিচার শুরু করার দাবিতে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। সোমবার ৮ জানুয়ারী সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের
উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনের এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক রফিউর রাব্বি। নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ্যাড. এবি সিদ্দিক, সাবেক নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি এ্যাড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম, সহ নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য সমমনা নেতারা এসময় বক্তব্য রাখেন।
২০১৩ সালের ৬মার্চ ত্বকীকে হত্যা করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এর দুইদিন পর ৮মার্চ শীতলক্ষ্যার পাড়ে ত্বকীর লাশ পাওয়া যায়। এ হত্যাকাণ্ডে ওই বছরই ২৯ জুলাই ইউসুফ হোসেন লিটন ও ১২ নভেম্বর সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সুলতান শওকত ভ্রমর জানায়, শামীম ওসমানের ভাতিজা, নাসিম ওসমানের ছেলে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ও নির্দেশে তারই টর্চারসেলে তারা ত্বকীকে হত্যা করে আজমেরীর গাড়িতে করেই লাশ নিয়ে শীতলক্ষ্য নদীতে ফেলে দেয়। হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় ৫মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায় যে, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবার তাদেরি টর্চারসেলে ১১জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে। তারা হত্যার কারণ, স্থান, সময়, কেন, কিভাবে, কেকে জড়িত সমস্ত উল্লেখ করে অভিযোগপত্র তৈরিকরে সংবাদ সম্মেলনে তা সরবরাহ করেন।
সে সংবাদ সম্মেলনে তারা সংবাদিকদের বলেন, অচিরেই এ অভিযোগপত্র আদালতে পেশ করা হবে। কিন্তু সে সংবাদ সম্মেলনের তিন মাস পর ৩ জুন সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমান পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়ার পর তদন্তের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। র্যাবের তৈরিকরা অভিযোগপত্রটি আজো পর্যন্ত আদালতে পেশ করা হয় নাই।
সে সময় থেকে প্রতিমাসের ৮ তারিখ ত্বকী হত্যার বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট নারায়ণগঞ্জ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আসছে। #