নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ইউনিয়ন পরিষদে হামলা ৬ টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ আহত ১০
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় জেরে দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা। একটি প্রাইভেটকার, চারটি মোটরসাইকেল ও একটি অটো রিক্সায় অগ্নিসংযোগ: আহত ১০ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী পরবর্তী সহিংস ঘটনা ঘটেছে। দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও গাড়ি এবং মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি করে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হয়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আজ বিকেলে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়াকে হারিয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। শাহজাহান ভূঁইয়ার পক্ষে কাজ করেন দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর মাস্টারসহ তার লোকজন। দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে কম্বল বিতরণের আয়োজন করেন ইউপি চেয়ারম্যান।
একই সময় দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের গেইটের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নির্বাচনী পরবর্তী আলোচনা সভার আয়োজন করেন গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের সমর্থিত স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। একই জায়গায় পাশাপাশি দুটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজন জমায়েত হতে থাকে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুইপক্ষের লোকজন লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধায়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে একটি পক্ষের হামলাকারীরা ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান ব্যবহৃত গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনাও ঘটে। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে গাড়ির আগুন নেভায়। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপঙ্কর চন্দ্র সাহা বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। #