দুর্গাপূজায় জঙ্গি হামলার ঝুঁকি আছে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘দুর্গাপূজায় জঙ্গি হামলার ঝুঁকি আছে। তবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও প্রতিটি মণ্ডপে সতর্ক অবস্থানে আছে। ঝুঁকি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের আছে।’
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘৫০ জন ছেলে বাসা ছেড়ে নিখোঁজ রয়েছে। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও এসব ছেলের ব্যাপারে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ৫০ জন ছেলের নিকটস্বজন, বন্ধুসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। তাদের অবস্থান নিশ্চিত জানার জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতাও নেওয়া হয়েছে। তারা কোনো গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছি। আসলেই তারা যদি অতীতের মতো বিপদগামী হয়ে যায়, তাহলে জঙ্গিবাদ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তারা যেন সে সুযোগ না পায়, সেজন্য তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।’
পূজামণ্ডপে ঝুঁকি আছে, উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অনেক উন্নত দেশই জঙ্গি হামলার ঝুঁকিতে আছে। আমাদের দেশও এর বাইরে নয়। তবে, আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে অভিযান চালিয়েছে, গ্রেপ্তার এবং আদালতের মাধ্যমে সাজা নিশ্চিত করেছি, তাতে এ দেশে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরও জঙ্গিরা বসে নেই। তারা এখন তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অবশ্য, আমাদের সাইবার ক্রাইম ইউনিট তাদের এসব কর্মকাণ্ড প্রতিনিয়তই নজরদারি করছে। পাশাপাশি কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন জঙ্গিরা কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। জঙ্গি দমনে পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিটও গঠন করা হয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট জঙ্গিবাদ দমনে বিশেষ অবদান রাখছে। আমরা আশা করছি, জঙ্গিরা এ দেশে আর কোনোদিন শক্তভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। জঙ্গিরা মাঝেমধ্যে ছোটখাটো কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের মানে আতঙ্ক ছড়ানোর পাঁয়তারা করছে।’
পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে, দাবি করে তিনি বলেন, ‘রাজধানীসহ সারা দেশের পূজামণ্ডপে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকে ডিবি, এসবি, এনএসআই সার্বক্ষণিক মানুষের গতিবিধি নজরদারি করছে। বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও দৃঢ় করেছে। সে ক্ষেত্রে যত ঝুঁকিই থাক, জঙ্গিরা সুযোগ নিতে পারবে না বলে আশা করছি।’