শিরোনাম
ফতুল্লায় দুই এসআইকে টাকা না দিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ী !
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ পাওনা টাকা আদায়ে আদালতে মামলা করেও তা এখনও পর্যন্ত আদায় করতে পারেনি। ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হোসেন মোকাম বিজ্ঞ সি,এম,এম আদালত ঢাকায় একটি সিআর মামলা যার নং ৮৩৪/২০২৩ইং করলেও বিবাদী আবদুর রহমান ওরফে প্রিন্স টাকা দেয়ার পরিবর্তে উল্টো মামলায় পাওনাদারকে নাজেহাল করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হোসেন ডাইং এর মালিক মোহম্মদ হোসেনের কাছ আবদুল্লাহ ফেবিক্স আব্দুর রহমান ওরফে প্রিন্স বিভিন্ন সময় কাপড় রং করাতেন সেই সুবাদে আব্দুর রহমান উনিশ লক্ষ ৬৫ হাজার পাওনা হলে ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ২শত টাকা পরিশোধ করে তবে বাকি উনিশ লক্ষ টাকা দিতে আব্দুর রহমান তালবাহানা শুরু করতে থাকে। তার পর মোহম্মদ হোসেন তার টাকার জন্য মোহম্মদ হোসেন ডেকে নেন তবে আব্দুর রহমানকে তবে তার চাচা সেটাকে অপহরন চালিয়ে পুলিশ নিয়ে যায় এবং সেই মামলায় ভয় দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা নেয় পুলিশ। তবে মোহাম্মদ হোসেন পাওয়া টাকা না পেয়ে আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে।
তবে আব্দুর রহমান পাল্টা মামলা করেন মোহম্মদ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজির মামলা করে।
তবে এই চাঁদাবাজি মামলায় অভিযুক্ত মোহম্মদ হোসেন দাবি করেন আব্দুর রহমান মিথা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নং আমলী আদালতে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে সেখানে সে উল্লেখ করে আমি নাকি তাকে আটকিয়ে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছি। এখানে আমার কথা হচ্ছে আমি তো তার কাছেই টাকা পাই কিভাবে আমি চাঁদাদাবি করবো। শুধু তাই নয় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখে আমাকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয় আমি যেন তার বিরুদ্ধে করা মামলা উঠিয়ে ফেলি। অন্যদিকে আমার বিরুদ্ধে করা ২০ লক্ষ টাকার চাদাবাজির মামলাটি তদন্তের ভার পরে ফতুল্লা থানা এস আই সাইফুল ও এস আই শাহাদাৎ এর ওপর।
তবে এই মামলাটি হাতে নেওয়ার পর পুলিশের এই দুই কর্মকর্তা সাইফুল ও শাহাদাৎ তদন্তের নামে বানিজ্যের দিকে ঝুঁকে পরে আমার কাছ থেকে তারা ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। যদি ২ লক্ষ টাকা দেয় তাহলে আমার পক্ষে যাবে রিপোট তবে তাদের দাবিকৃত টাকা না দিতে পারায় পুলিশ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট পাঠিয়েছে আদালতে। পুলিশ ও এই তদন্তের ঘটনায় ফতুল্লার থানার দুই এসআইকে ২ লাখ দিলে আমাকে এটাও বলেছে আমি যার কাছে টাকা পাই সেই আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে করা জয়ী মামলাটিও উঠিয়ে নিয়ে বলেছে। এই অবস্থায় আমি আমার জীবনের নিরাপত্তাও পাচ্ছিনা যা আমি পুলিশ সুপার সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, ফতুল্লা থানা এড়িয়াতে বিভিন্ন জায়গাতে এস আই সাইফুল ও এস আই শাহাদাৎ এর বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ। মাদক ব্যবসায়ীদের দিয়ে সোর্সের কাজ করাচ্ছে এমনকি আসামী ধরে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন অপরাধের না জড়িয়ে নিজেদের আলোচনায় এনেছেন এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
মিথ্যা মামলায় হয়রানী শিকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমি ন্যায় বিচারের আদালতে গিয়েছি বিবাদীর কাছে পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য। কিন্তু সেখানে আমার বিবাদী টাকা না দেয়ার উদ্যোশে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও আমাকে মুঠোফোনের মাধ্যমে হুমকী প্রদান করছে আমি যেন টাকা ফেরত না চাই।
এজন্য আমাকে ও আমার পরিবারকে মামলায় ফাঁসানোসহ প্রাননাশের হুমকী প্রদান করছে। আবার মিথ্যা মামলার তদন্ত করতে আসা পুলিশকে দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় পুলিশও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিবেদন পাঠিয়েছে আদালতে। আমি এখন কার কাছে ন্যায় বিচার চাইবো। বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করার জন্য ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং মহামান্য আদালতের কাছে অনুরোধ করবো তারা যেন আমাকে ন্যায় বিচারের মাধ্যমে বিবাদী আবদুর রহমান প্রিন্সের কাছে পাওনাকৃত টাকাগুলো উদ্ধারে ব্যবস্থা করিবেন।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.সাইফুল ইসলাম এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,না ভাই তাদের কাছে কোন টাকা-পয়সা চাওয়া হয়নি। কে বলে আপনাকে এ ধরনের কথা। ওরা একটি মামলা করেছে যেটা তদন্ত করছে পিবিআই আর আবদুর রহমানের মামলাটি তদন্ত করে আমি তার প্রতিবেদন আদালতে দিয়েছি। #