মামলার বাদীকে কুপিয়ে জখম, ১ জনের মৃত্যু, পুলিশ বলছে ষ্ট্রোক
আড়াইহাজার প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে খাগকান্দা ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১৭ বাড়ী লুটপাটের ঘটনার রেশ ধরে আবারো মামলার বাদী আবুল হোসেন (৪২) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ গেলে পুলিশ যাওয়ার সংবাদে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে হাতেম আলী (৬০) নামে এক লোক ষ্ট্রোকে আক্রন্ত হয়ে মারা গেছে।
পরে হাতেম আলীর পক্ষের লোকজন পুলিশের উপর হামলা করলে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার আওয়ামলিীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন এবং ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য জুলহাস মেম্বার ও শাহ আলমের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। গত সোমবার (২৬ ফেব্রæয়ারী) রাতে জুলহাস মেম্বারও শাহ আলমের পক্ষের লোকেরা তোফাজ্জল ও মহিলা ইউপি সদস্য আফরোজার বাড়ী সহ ১৭ বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। এ নিয়ে তোফাজ্জলের ভাই আবুল হোসেন বাদী হয়ে ২৮ ফেব্রæয়ারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বৃহষ্পতিবার সকালে তোফাজ্জলের ভাই আবুল হোসেন (৪২) বাহেরচর বাজারে তার দোকান ঘর খুলতে গেলে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে জুলহাস মেম্বারের লোকেরা। তাকে সঙ্গে সঙ্গে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে এনে ভর্তি করা হলে এলাকায় এ নিয়ে আবারো উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসানউল্লাহর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এলাকায় পুলিশ যাওয়ার সংবাদে জুলহাস মেম্বারের পক্ষের লোকজন এদিক ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। এ সময় জমিতে কাজ করতে থাকা হাতেম আলী আতঙ্কিত হয়ে স্ট্রোক করে মারা যায়।
আড়াইহাজার থানার ওসি মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ জানান, হাতেম আলীর মৃত্যু ষ্ট্রোক জনিত কারণে হরেয়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য লাশের ময়না তদন্তের দরকার। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্তিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। আমি সহ পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। #