শিরোনাম
বকেয়া বেতন, হামলা, ছাঁটাই সহ ১২ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ, শ্রমিকের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের শাস্তি ও ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধসহ ১২ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাম্পান সুজ লিমিটেড শ্রমিকরা।
আজ ১০ মার্চ দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে দুই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ, শ্রমিকের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের শাস্তি ও ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধসহ ১২ দফা দাবি জানানো হয়।
রবিবার ১০ মার্চ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
এসময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সমানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কারখানার শ্রমিক মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব,
গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদির, কাচঁপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সহসভাপতি আনোয়ার খাঁন।
এসময় নেতৃবৃন্দরা বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত সাম্পান সুজ লিমিটেড শ্রমিকরা ২ মাস যাবৎ বেতন পায় না। কারখানায় কখনও আইন মোতাবেক সাত কর্মদিবসে বেতন দেয় না। বেতন চাইলে অকথ্য গালিগালি, মারধর করে। কারখানার মালিক বাংলাদেশ শ্রম আইন মেনে কারখানা পরিচালনা করে না। সরকার ঘোষিত পাদুকা শিল্পের মজুরি গেজেট অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ ও পরিশোধ করে না। শ্রম আইন অনুযায়ী চাকরি থেকে ইস্তফা বা রিজাইন দিলে র্সাভিস বেনিফিটের টাকা দেয় না। নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন সবেতনে ছুটি দেয় না। কারখানায় শ্রমিক অসুস্থ হলে ছুটি বা চিকিৎসা মালিক করায় না এবং এমবিবিএস ডাক্তার রাখে না। শ্রম আইন না মেনে কথায় কথায় শ্রমিকদের ছাটাঁই করে। ১৩ ফেব্রæয়ারি শ্রমিকরা মালিকের কাছে বেতন চাইতে গেলে কারখানায় মালিকের কর্মকর্তা ও বহিরাগতরা শ্রমিকদের মারধর করে। ৬ জন শ্রমিককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
অভিযোগ দেয়া হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। শ্রমিকদের ১২ দফা দাবি নিয়ে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে কয়েকবার বসলেও মালিকরা কবে বেতন দিবে তা জানায়নি ও ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করেনি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শ্রমিকেরা সময়মতো বেতন না পাওয়ায় বাড়িভাড়া ও দোকান বাকি বিল পরিশোধ করতে পারছে না, সন্তানের শিক্ষার খরচ, পরিবারের চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতে পারছে না। বাড়িওয়ালা, দোকানদার খারাপ আচরণ করছে শ্রমিকদের সাথে। নেতৃবৃন্দ সংকট নিরসনের জন্য জেলা প্রশাসক, কল-কারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শিল্প পুলিশকে দ্রæত পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান। #