শিরোনাম
হুমায়ুন কবীরের অত্যাচার নির্যাতন ও মামলা থেকে বাঁচতে এলাকাবাসির মানববন্ধন
আড়াইহাজার প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পাঁচটি সেচ প্রকল্পের আড়াইশ বিঘা জমির সেচ কাজ ৫ বছর ধরে বন্ধ রাখা, মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি বিক্রি করে দেয়া, বিভিন্ন জনের পৈত্রিক ও খরিদকৃত সম্পত্তি বলপূর্বক জবরদখল করা, এলাকার নিরীহ লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার প্রতিবাদে উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আতাদী গ্রামের হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে এলাকার নিরীহ কৃষক ও জনসাধারণ। তারা হুমায়ুন কবীরের অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে সোমবার দুপুরে নিজ এলাকায় এ মানবন্ধন করেন।
জানা গেছে, ওই গ্রামের প্রায় আড়াইশ কৃষক মিলে এখন থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে ”পূর্ব আতাদী কৃষক সমবায় সমিতি” গঠন করে সমিতির অর্থায়নে প্রায় আড়াইশ বিঘা জমি নিয়ে ৫টি সেচ মেশিন স্থাপন করে বোরো চাষ করতে থাকেন। কিন্তু ১০ বছর বোরো চাষ করার পর হঠাৎ করে গত পাঁচ বছর আগে সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবীর পেশি শক্তি খাটিয়ে কতিপয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোককে ব্যবহার করে সেচ প্রকল্প গুলো বন্ধ করে দিয়ে মেশিন পত্র তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখেন। জমি গুলোতে অন্য কেউ নিজ উদ্যোগে সেচ মেশিন বসাতে চাইলে তাকেও তিনি মামলার ভয় দেখিয়ে বাধা প্রদান করেন।
তা ছাড়া উক্ত হুমায়ুন কবীর পূর্ব আতাদী জামে মসজিদের নামে সম্পত্তি ওয়াকফ করে নিয়ে জায়গাটি অন্যত্র বিক্রি করার জন্য এরশাদ নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে চার লাখ টাকায় বায়না নিয়ে জমিটি ওই ব্যাক্তির দখলে দিয়ে দেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবীরের বড় ভাই আবুল হোসন জানান, এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আমি প্রতিবাদ করায় হুমায়ুন কবির আমার নামে ১৭ টি মামলা দিয়েছে, আমার আপন ভাগ্নী জামাইয়ের নামে ৩১ টি মামলা দিয়েছে এবং উচিৎপুরা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য আল আমিনের নামেও ৬টি মামলা দিয়েছে। তা ছাড়া পুরো গ্রামের মানুষের নামে সে ১০৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
ভুক্তভোগী ইউছুফ জানান, আমার ও অপর দুজনের কাছ থেকে মসজিদের নামে জায়গা ওয়াকফ করে নিয়ে মসজিদের মোতোয়াল্লী হুমায়ুন কবির ওই জায়গা অন্যত্র বিক্রি করে দিতে এরশাদ নামে একজনের কাছ থেকে বায়না করেছে। উচিৎপুরা বাজারের দর্জি দোকানের মালিক মোঃ ফরিদ জানান, আমার এক ওয়ারিশের কাছ থেকে তার প্রাপ্য আধা শতাংশ জায়গা খরিদ করে হুমায়ুন কবির আমাদের সকল ওয়ারিশদের ২৮ শতাংশ জায়গা জবরদখল করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে ওই গ্রামের প্রায় দেড় শতাধীক কৃষক সম্মিলিত ভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহাম্মেদ এ বিষয়ে উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তাকে প্রধান করে বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী সহ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠণ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য বিএডিসির আড়াইহাজারের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুশান্ত সাহা বলেন, ইউ এন ও মহোদয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি কাজ করে যাচ্ছে।#