শিরোনাম
ঈদের আগে বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধের দাবিতে সমাবেশ-মিছিল
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ, ঢাকা ইউনাইটেড ও মোল্লা রি-রোলিং, শারমিন স্টিল মিলসসহ সকল বন্ধ কারখানা অবিলম্বে চালু এবং রি-রোলিং কারখানায় শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্রসহ শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবিতে রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট এর উদ্যোগে আজ বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ ও শহরে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম খান বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কাদির প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ঈদ আসলে বেতন বোনাস নিয়ে কারখানাগুলোতে সংকট তৈরি হয়। রি-রোলিং কারখানাগুলোতে মালিক শ্রমিকদের নিয়োগপত্র পরিচয়পত্র দেয় না। ফলে সেখানে কোন শ্রম আইন চলে না। এ সুযোগে মালিকরা শ্রমিকদের বোনাস থেকে বি ত করে। আইনের বাস্তবায়ন না থাকায় যেমন খুশি তেমন বোনাস দেয়া হয়। এমনকি অনেক কারখানায় বোনাসও দেয়া হয় না। শ্রমিকরা বোনাসের কথা বললে তার উপর নেমে আসে নির্যাতন। তাকে চাকরি পর্যন্ত হারাতে হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেসিকের সমান বোনাস দেয়া হয়। অথচ যাদের উৎপাদনের কারণে দেশের চাকা ঘুরে তাদের ঠিকমতো বোনাস দেয়া হয় না। শ্রমিকদের সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো পূর্ণ বোনাস দিতে হবে। বেতন বোনাস নিয়ে মালিকদের গড়িমসির কারণে শিল্প এলাকায় যদি শ্রমিক অসন্তোষ তৈরি হয় তারজন্য মালিক ও প্রশাসন দায়ী থাকবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শ্যামপুরে অবস্থিত ঢাকা ইউনাইটেড রি-রোলিং মিলস ও মোল্লা স্টিল রি-রোলিং মিলস এবং সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত শারমিন স্টিল মিলস বেআইনিভাবে বন্ধ। কারখানা বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা অনাহারে অর্ধাহাওে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ঈদকে সামনে রেখে শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে দিশেহারা। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে অভিযোগ দিলেও এখনও সংকটের সমাধান হয়নি।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কারখানাগুলো চালু করা ঈদের আগে শ্রমিকের বোনাসসহ সকল পাওনাদি পরিশোধের দাবি করেন। #