ক্রেতা শূন্য থাকায় কপালে দু:শ্চিন্তার ভাঁজ, কিভাবে পালন করবে ঈদুল ফিতর ?
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ
“এ যেন মরার উপর খরার ঘা” পবিত্র ঈদুল ফিতর অনেকের ঘরের দরজার কড়া নাড়ছে। ঘরে থাকা স্ত্রী-সন্তান-সন্তানাদি বায়না ঈদে নতুন জামা-কাপড় ও ভালোমানের খাদ্য লাগবে। কিন্তু কিভাবে সংসারের এ সকল দ্বায়িত্বগুলো পালন করবে স্বামী কিংবা বাবা নামের সেই অভিভাবকটি। আয়ের একমাত্র পথটি তো বন্ধ হয়ে গেছে হঠাৎ সিদ্ধান্তের কারনে।
তাহলে নিজের সংসারের কোন সদস্যরা ঈদে নতুন জামা-কাপড় কিংবা ভালমানের খাবার থেকে বি ত হচ্ছে? কথাগুলো বলছি নগরীর ফুটপাতের উচ্ছেদকৃত দোকানীদেরকে নিয়ে। রোজার প্রায় সপ্তাহখানেক পুর্বে নগরীর প্রতিটিস্থান থেকেই হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে নগরীকে যানজটমুক্ত করার জন্য। কয়েকদিন আন্দোলনের পর সকল হকারকে নগরীর সলিমুল্লাহ রোডের নিউ মেট্রো সিনেমা হলের সামনে স্থানান্তর করা হয়েছে কিছুদিন পুর্বে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার সময়ও সেখানে প্রতিটি দোকানী অধীর আগ্রহে রয়েছে একজন ক্রেতা আসবে। কিন্তু প্রায় ঘন্টাখানেকের মধ্যেও কোন ক্রেতার দেখা মিলেনি।
হকাররা বলেন,ভাই আমরা কার কাছে যাবো। পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় উঠবো। মুসলিম উম্মাহর সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব ঈদুল ফিতর সকলের ঘরে দরজার কাড়া নাড়ছে। আমাদেরকে উচ্ছেদের পর থেকেই পরিবার নিয়ে অনেকটাই কষ্টের মাঝে দিনানিপাত করছি। রমজান মাসে পরিবারের কোন সদস্যকে ভালো কোন খাবার দিতে পারছিনা। জামা-কাপড়ের কথা বাদ দিলাম। মিশনপাড়া থেকে শুরু করে মেডিষ্টার হাসপাতাল পর্যন্ত আমাদের কোন হকারকে বসতে দিচ্ছেনা আশপাশের দোকানীরা। কয়েকদিন পুর্বে হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীরা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে এখানে বসতে দিচ্ছেনা। বর্তমানে মেট্রো হলের সামনে রয়েছি কিন্তু বেচা-কেনা নেই বললেই চলে। শুক্কুর নামে এক হকার বলেন,বাসা থেকে বের হওয়ার সময় কয়েকদিন যাবত ছোট ছেলেটি তরমুজ খাওয়ার জন্য আবদার করছে। ভাই তরমুজ তো দুরের কথা ঘরে চাল-ডালেরও ব্যবস্থা করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। শুক্কুরের মত সেখানে থাকা প্রতিটি হকারের একই অবস্থা। তারা বলেন,সন্ধ্যার পর হলেও আমাদেরকে পুর্বেস্থানে বসার সুযোগ করে দেয়া হোক যেন রোজা এবং ঈদটুকু যেন পরিবার নিয়ে ভালভাবে পার করতে পারি।
হকারদের দাবী, মানবতার মা নগর মাতা ডা: সেলিনা হায়াত আইভী মহোদয় এবং নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান মহোদয়ের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন,তারা উভয়েই যেন বাকী রমজানে আমাদেরকে পুর্ববতী স্থানে বসে ব্যবসা কওে পরিবার-পরিজন নিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরটুকু উদযাপনের সুযোগ করে দিবেন। #