প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে অস্থান নেয়ায় মাকসুদকে গনরায় দিয়েছে বন্দরবাসী
বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি পরিবার, জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সর্বোচ্চ শক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ১৫০৩৫ ভোট বেশী পেয়ে নানা ঘটনায় আলোচিত ও সমালোচিত সেই মাকসুদ হোসেন বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদ পেয়েছেন ১৪৮৩৮ ভোট। সূত্র মতে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে মাকসুদ হোসেন মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় বন্দর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রচার প্রচারণা শুরু করেন। নির্বাচনী প্রচারণায় উপজেলাবাসীর মধ্যে ব্যপক সাড়া পেয়ে মাকসুদ হোসেন সুবিধাজনক অবস্থান তৈরী হয়।
এ ধারাবাহিকতায় বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদকে একক প্রার্থী ঘোষণা করে মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া, বন্দর, মুছাপুর, ধামগড় ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৪ চেয়ারম্যান সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন । তারপর থেকে শুরু হয় এমপি সেলিম ওসমান বন্দরে কয়েকটি অনুষ্ঠানে বক্তব্যে মাকসুদ হোসেনকে রাজাকার পূত্র বলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নানা হুমকিদমকি দেন। এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশনাকে চেলেঞ্জ ছুড়ে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে পদ ত্যাগ করে জনগনের ভোটাধিকার ফিরে আনতে পুরোদমে নির্বাচনী মাঠে নামায় মাকসুদ হোসেনকেই বেঁচে নিয়েছেন বন্দরবাসী। নারায়ণগঞ্জের এমপি পরিবারের বিরুদ্ধে অস্থান নেয়ায় মাকসুদ হোসেনকে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে গনরায় দিয়েছে বন্দরবাসী।
এছাড়াও মাকসুদ হোসেন পূর্ব পূরুষ তার পিতা মরহুম এমএ রফিক পাকিস্তান আমল থেকে আমৃত্যু পর্যন্ত ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। বড় ভাই আনোয়ার হোসেন শাহ মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর মাকসুদ হোসেন উপ নির্বাচনে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদে টানা তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
পাকিস্তান আমল থেকে জনপ্রতিনিধিত্বের তালিকায় থাকায়, পরিবারিক এ ঐতিহ্যকে কাজে লাগিয়ে ইউনিয়ন থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মাকসুদ হোসেন। তিনি পেয়েছেন ২৯,৮৭৩ ভোট।
ইতিপূর্বে বন্দরউত্তরাঞ্চল থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কেউ বিজয়ী হতে পারেনি। পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদ
বিনা ভোটে। এবারের নির্বাচনে গনরায়ে মাকসুদ হোসেন নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ায় ইতিহাস রচনা করেন ।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীকের মো. আলমগীর ১৭ হাজার ৬০৬ ভোট পেয় নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু। সানু পেয়েছেন ১৭ হাজার ১ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সালিনা হোসেন শান্তা ফুটবল প্রতীকে ২৯৪৫৩ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. মাহমুদা আক্তার কলস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬২৮৪ ভোট।#