নারায়ণগঞ্জের কোরবানির হাটগুলো জমে উঠতে শুরু করেছে
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু নিয়ে নারায়ণগঞ্জে এসেছে খামারিরা। এ বছর জেলার সিটি করপোরেশন এলাকাব সহ পাঁচটি উপজেলাধীন স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে মোট ৯১ টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। ইতোমধ্যে জমে উঠেছে এ সব হাট।এদিকে এবার দেশীয় গরুর সাথে সাথে ভারতীয়, ভুটান ও নেপালের ও অস্ট্রেলিয়ান গরুর সমাহার দেখা যাচ্ছে হাটগুলোতে।
তবে বিদেশি গরুর তুলনায় দেশীয় গরু বেশি উঠেছে হাটগুলোতে এবং ক্রেতাদেরও চাহিদা বেশি।আর মাত্র দুই দিন বাকি এর মধ্যে জেলার অনেক হাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষণীয় হলেও অনেক হাটে একেবারে ক্রেতার সংখ্যা নগণ্য। বিভিন্ন অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার হাটগুলোতে গরুর সংখ্যা বেশি হলেও ক্রেতাদের সংখ্যা একেবারে কম বলছে বিক্রেতারা।বিক্রেতারা বলছেন, হাটে পশুর সরবরাহ বেশি থাকলেও ক্রেতা কম। তবে হাটের শেষ পর্যায় গরুর বিক্রির ধুম বারবে।এদিকে ক্রেতারা জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে।সরেজমিনে ফতুল্লা, পাগলার তালতলা, জালকুড়ির কড়ইতলা, ভূইঘর সোনালি সংসদ, ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন, কায়েমপুর জেলখানা সংলগ্ন এলাধিক গরুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, গরুর হাটগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই কম। কেউ দাম হাঁকাচ্ছ আবার কেউ দর দাম বলে চলে যাচ্ছে।
এদিকে বিক্রেতারা ও গরুর দাম ছাড়ছে না। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেকটা বেশি বলে দাবি ক্রেতাদের।গত বছরের মাঝারি সাইজের গরু এক থেকে এক লাখ বিশ হাজার আর এ বছর সেই গরু দেড় থেকে দুই লাখ টাকা বিক্রি হচ্ছে।এদিকে হাটগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নদী ও সড়ক পথে কেউ গরু নিয়ে টানা হিঁচড়া করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তের মেশিন বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রশাসন থেকে।কারো বিরুদ্ধে অনিয়ম করার অভিযোগ পাওয়া গেলেই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #