শিরোনাম
বাড়ির ইট খুলে নেবার অধিকার আপনাদের কে দিলো ? – রফিউর রাব্বি
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা ও সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, বাড়ির ইট খুলে নেবার অধিকার আপনাদের কে দিলো ? আজমীর ওসমানকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে।
বিএনপির একজন বলেছেন, একজনের বাড়ির ইট খুলে আনবেন। ইট খুলে আনার হুমকি আপনি দিবেন কেন? যদি কেউ অপরাধী, দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে থাকে তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশনকে অভিযোগ করুন। বাড়ির ইট খুলে নেয়ার অধিকার আপনাদের কে দিল ? বর্তমান সরকারকে বিতর্কিত করতে যাবেন না। আপনাদের অনেকে শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের সাথে ছিলেন। আপনাদের অনেকে শামীম ওসমানের কাছ থেকে ২-৪ কোটি এনেছেন। আবার সংবাদমাধ্যমে তা বলেছেনও। আমরা এটি সংবাদের মাধ্যমে জেনেছি।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা যাবে এটা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। তারা গত ১৫ বছর ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার জন্য যা যা করার দরকার সব করেছে। (সংবিধানের) ত্রয়োদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে চিরস্থায়ী একটি বন্দোবস্ত করেছিল যাতে ক্ষমতায় থাকা যায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।’
শুক্রবার ১৬ আগস্ট বিকেলে শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক জোটের এক সাংস্কৃতিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন, ত্বকী হত্যায় অভিযুক্ত আজমেরী ওসমান তার পুলিশ কর্মকর্তা বোনজামাই’র গাড়িতে পালিয়েছে অভিযোগ করে রাব্বি বলেন, ‘আজমেরী ওসমান তার বোনের স্বামী গুলশান এরিয়ার অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ইফতেখারের গাড়ি করে নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়েছে। ইফতেখারের ভাই মাহবুব কুমিল্লায় জেলার হিসেবে এখনো দায়িত্ব পালন করছে। বন্দরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে তার শত বিঘা জমি আছে।একজন জেলার কীভাবে শতশত হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারে? এতাকিছু পর কীভাবে তারা পুলিশের দায়িত্বে বহল থাকে?’
আজমেরী ওসমানের গ্রেপ্তার ও তাকে পালানোর সুযোগ করে দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। খুন, রাহাজানি, দখলদারি, মাদকসব সব নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের বিরুদ্ধে মাফিয়াতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেছিল। বিগত ১৫ বছর শেখ হাসিনা এই মাফিয়াচক্রকে মদদ দিয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জের ত্ব্কীর পূর্বে এবং পরে অনেক হত্যাকান্ড ওসমান পরিবারের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছে। যারা ত্বকী হত্যার প্রতিবাদ করেছে, বিচার চেয়েছে, তাদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এড. জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন খেলাঘর আসরের জেলা সাবেক সভাপতি রথীন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে, কবিতা গান পরিবেশন করে চন্দ্রবিন্দু শিশু মন কেন্দ্র, ‘যোদ্ধা’ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও গঙ্গাফড়িং এর শিশু সংগঠকরা। #