শিরোনাম
জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক চেতনায় জাসাসের প্রতিটি সদস্য ঐক্যবদ্ধ – জিকো খান


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে কেককাটা আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস নারায়ণগঞ্জ সদর থানা। রবিবার ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের রাসেল পার্কের মুক্ত মঞ্চে শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন পলানে মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় ‘জাসাস’ এর যুগ্ম আহবায়ক আনিসুল ইসলাম সানি বলেছেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকীতে সদর থানা জাসাসের আয়োজনে কেককাটা আলোচনা ও মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজন প্রশংসনীয়। সদর থানা জাসাসের সভাপতি জিকো খানের নেতৃত্বে জিয়াউর রহমানের একনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ ও জনতার জন্য কাজ করে যাবে।
আলোচনা সভায় সদর থানা জাসাসের সভাপতি জিকো খান বলেছেন, স্বাধীনতার ঘোষক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ মাটি ও মানুষের জন্য দেশ গঠন ও কল্যান মূলক কাজ করে ইতিহাসের পাতায় স্মরনীয় হয়ে আছে। জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্র নীতি ও রাজনৈতিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে থানা জাসের প্রতিটি সদস্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাবে। বিএনপির জন্য আত্তনিবেদিত পরিক্ষিত কারানির্যাতিত নেতা জাকির খানের জন্য সকলে দোয়া করবেন। কেন্দ্রীয় জাসাস নেতা আনিসুল ইসলাম সানী ও জাকির খানের হাতকে শক্তিশালী করতে সদর থানা জাসাস সবসময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আছে। সবাইকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সদর থানা জাসাসের সাধারন সম্পাদক এড.গালিভ বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে সদর থানা জাসাসের পক্ষ থেকে লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। সদর থানা জাসাসের প্রতিটি সদস্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে বিএনপি সরকার গঠনে সকলরকম কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে সর্বদা রাজপথে থাকবে। নারায়ণগঞ্জের যুবসমাজের আইডল কারানির্যাতিত নেতা জাকির খানের সকল ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে দ্রুত মুক্তি দাবি করছি।

এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর জাসাসের সভাপতি স্বপন চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস নারায়ণগঞ্জ সদর থানা কমিটির
সহ সভাপতি আরিফ সরদার, যুগ্ম সম্পাদক আবু সালেহ আহম্মেদ সনেট, সহ সাধারণ সম্পাদক নাদিম ভূইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবর
রহমান মন্টি, সহ সাংগঠনিক রহম সম্পাদক মোনায়ের উদ্দিন মানিক সোহেল, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফুল আলম রিন্টু, প্রচার সম্পাদক রাশেদ পারভেজ রানা, সহ প্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কাউছার হোসেন, সহ দপ্তর সম্পাদক অপি মৃধা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. রোকন, সহ সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. মোমেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. ডিপটি, সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সঞ্জয় দাস, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক এরশাদ নাদিম, আইন বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল রহিম রাজিব, তথ্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. আবিদ, ক্রীড়া ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন হোসেন বাবু, সহ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. লিমন, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. জুয়েল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নূরে আলম টুটুল প্রধান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এড. ফাতেমা আক্তার পপি। সদস্য পদে মো. তুষার, মো. সজিব, আল আমিন হাওলাদার, মো. রাজিব শেখ, মো. পলাশ, রাজিব ঘোষ।
পরে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে উঠে দলীয় নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আজ ৮৯তম জন্মবার্ষিকী।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি তিনি বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
শৈশবে তার ডাকনাম ছিল কমল। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত করে।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি ও সাবেক সেনাপ্রধান।
সংক্ষিপ্ত জীবনী
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের এ দিনে বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মনসুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন রসায়নবিদ।
বগুড়া ও কলকাতায় শৈশব-কৈশোর অতিবাহিত করার পর জিয়াউর রহমান বাবার কর্মস্থল করাচিতে চলে যান। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অন্যান্য সেনা কর্মকর্তাদের মতো তিনিও বিদ্রোহ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং চট্টগ্রাম কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সামনে আসেন তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। কয়েক বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করা জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিহত হন। #
