শিরোনাম
আইভীকে আসামী করা হত্যা মামলা মিনারুলের মৃত্যুর কারন সড়ক দুর্ঘটনা


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জে পোশাক কর্মী মিনারুল হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালতে শুনানীর সময় আইভীর পক্ষের আইনজীবী আদালতে এ হত্যা মমলায় মিনারুলের মৃত্যু সদনপত্র উপস্থান করে আদালতকে অবহিত করেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিনারুলের মৃত্যু হয়েছে।

কোন গুলিতে মিনারুল নিহত হয়নি। যার প্রমান মিনারুলের এই সরকারী মৃত্যু সদনপত্র। এসময় তারা আরো উল্লেখ করে বলেন, মিনারুলের মৃত্যুর পর অনেক বিলম্ব করে এ হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে যা আইনী প্রক্রিয়ার প্রশ্নবৃদ্ধ। এ হত্যা মামলার এজাহারে আইভীর সরাসরি অংশগ্রহন কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। এ মামলায় যে চার আসামীকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাদের জবানবন্দিতে আইভীর সম্পৃক্ততার কথাও বলেনি। বিগত সময় সাবেক মেয়র আইভী দল মতের উর্ধে উঠে নারায়ণগঞ্জের মানুষের সেবা উন্নয়ন করে জনপ্রিয় হয়েছেন। আইভী কখনো সংঘাতের রাজনীতি করেনি। তার কোন সান্ত্রাসী বাহিনীও ছিল না। সে কখনো কাউকে জুলুম নির্যাতন বা হামলা পর্যন্ত করেনি। নারায়ণগঞ্জের কোন মানুষ বলতে পারবে না আইভী কারো ক্ষতি করেছে। আইভী ন্যায়ে পক্ষে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমসময় লড়াই করে গেছেন। আইভী সন্ত্রাসের জনপদ নারায়ণগঞ্জে একজন প্রতিবাদের প্রতীক।

আইভী ২১ বছর চেয়ারম্যান ও মেয়র পদে নির্বাচন করার সময় নিজ দল আওয়ামীলীগ থেকে আইভীকে মনোনয়ন না দেওয়ার সে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও বিপুল জনপ্রিয়তার কারনে আওয়ামীলীগের সমর্থন পাওয়া মেয়র প্রার্থী এমপি শামাীম ওসমানকে লক্ষাধিক ভোটে পরাজিত করে জয়ি হয়। এসময় আদালত উভয়পক্ষকে শুনানীতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করার জন্য সুযোগ দেন। পরে আদালত শুনানী শেষে আইভীর দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে আদালত পাড়ায় আইভীর পক্ষের আইনজীবীরা বলেন মিনারুল হত্যা মামলায় রিমান্ড শুনানীতে ন্যায় বিচার পাইনি আমরা উচ্চ আদালতে যাব। নির্দোষ আইভীকে মুক্ত করতে আমরা শেষ পর্যন্ত আইনী লড়াই করে যাব।
রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মহসিন ইমামের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি সাবেক মেয়র আইভীর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে এই রায় প্রদান করেন। এসময় আইভীকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে উপস্থিত দেখানো হয়।
সাবেক মেয়র আইভীর আইনজীবি এ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন আরো বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। তার প্রেক্ষিতে দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আমরা বিভিন্ন ডকুমেন্ট দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছি এই মামলায় আইভীর কোন সম্পৃক্ততা নেই। মামলায় তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নাই। কোন সম্পৃক্ততা নাই এজাহারে। যাদেরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড নেয়া হয়েছে আগে তারা কেউ আইভীর নামও বলে নাই। পাশাপাশি এই মামলায় চারজন আসামী ইতোমধ্যে জামিনে আছেন। আমরা ন্যায় বিচার চাই। ন্যায় বিচারের জন্য আমরা আইনিভাবে লড়াই চালিয়ে যাবে।
অপর দিকে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি (ভারপ্রাপ্ত পি.পি) ওমর ফারুক নয়ন বলেন, পুলিশ যখন নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র আইভীকে গ্রেপ্তার করে তখন তিনি হাজার হাজার নৌকা মার্কার নেতাকর্মীদের দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সে যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলো তা হলে আদালতে আত্মসমর্পণ করতো। সে সম্পূর্ন আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল হয়ে দাম্ভিকতা দেখিয়েছে। #
