এপ্রিল মাসের ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের যৌক্তিক উত্তর দিতে পারেনি নির্বাহী প্রকৌশলী


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে প্রায় দ্বিগুনের অধিক বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে। এর কারণ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী কোনো যৌক্তিক উত্তর দিতে পারেনি। এপ্রিল মাসের ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল গ্রহণযোগ্য নয়।
এই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের কারনে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে এবং অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানালেন গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন। সোমবার ২৫ মে গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধিদল কিল্লারপুল এলাকায় নারায়ণগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী নাঈম হাসান মাহমুদ এর সাথে দেখা করেন। নেতৃবৃন্দ গত এপ্রিল মাসের অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের কারণ ও তার সমাধানের লক্ষ্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন কর্তব্যরত ডিপিডিসি নারায়ণগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী নাঈম হাসান মাহমুদের নিকট গত মার্চ এবং এপ্রিলের কয়েকটি বিদ্যুৎ বিল দেখান এবং উভয় বিলের মধ্যে অস্বাভাবিক ইউনিট বৃদ্ধির দিকে প্রকৌশলীকে অবগত করেন। যেখানে প্রতিটি বিলে গত মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে প্রায় দ্বিগুনের অধিক বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে। এর কারণ জানতে চাইলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা কোনো যৌক্তিক উত্তর দিতে পারেনি। উপরন্তু তিনি এপ্রিলে মানুষ অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন বলেই অতিরিক্ত বিল এসেছে বলে দাবী করেন।তরিকুল সুজন বলেন, এই ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ঈদের ছুটিতে গত মার্চ মাসে মানুষ শহর ছেড়ে ঈদ করতে গ্রামে গিয়েছেন। ঈদের ছুটির মাসে উল্টো মানুষের বিদ্যুৎ বিল কমার কথা কারণ মানুষ কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে। এবং প্রতি বছর মার্চ থেকে জুনের মধ্যে নিয়ম করে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত ইউনিট ব্যবহারের দাবী করে অতিরিক্ত বিল আদায় করছে। এবং এটা তাদের নিয়মে পরিণত হয়েছে। গত ফ্যাসিবাদের সময়েও আমরা এইসব লক্ষ্য করেছি। ফ্যাসিবাদীরা মানুষের কাছে জবাবদিহিতা করতো না। সরকারি দায়িত্বকে তারা জমিদারি মনে করতেন। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন বিভাগে পুরাতন ব্যবস্থাই বহাল আছে।
যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের কারনে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হচ্ছে এবং অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এসময় মহানগর কমিটির সমন্বয়কারী মোঃ বিপ্লব খান বলেন, এই ভুতুরে বিল নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য ভয়াবহ চাপ তৈরি করে। নারায়ণগঞ্জ একটি শ্রমিক অধ্যুষিত অঞ্চল। শ্রমের বিনিময়ে উপার্জিত অর্থ অদৃশ্য কারণেই জনগনের কাছ থেকে ছিনতাই হয় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে। এমন ডাকাতির শিকার আমরা আওয়ামী আমলেও প্রতিনিয়ত হয়েছি। কিন্তু অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এই অর্থনৈতিক নিপীড়ন জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নির্মাণের পরিপন্থি। বিদ্যুৎ বিলের নামে জনগনের অর্থ ছিনতাই বন্ধ করতে হবে। সুষ্ঠু-ন্যায্য অর্থের বিনিময়ে পরিসেবা নিশ্চিত করতে হবে।নারায়ণগঞ্জবাসীকে তার এই অর্থনৈতিক নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য সংঠিত হবার আহবান জানাই। লড়াইই মুক্তির পথ।প্রতিনিধি দলে ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগর সমন্বয়কারী বিপ্লব খান, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানি সরকার, জেলা কার্যকরী সদস্য আলমগীর হোসেন আলম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনা। #