নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা-সামাজিক অনাচার বন্ধের দাবি মহিলা পরিষদের
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা-সামাজিক অনাচার প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ ও সামাজিক শক্তিকে সংহত করার লক্ষে মহিলা পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । ১৫ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল চারটায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার লিগ্যাল এইড উপপরিষদের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। শহরের মিশনপাড়া এলাকায় এ সভাযর সভাপতিত্ব করেন জেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী। মতবিনিময় সভায় মহিলা পরিষদের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন জেলার সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসিনা পারভীন, আন্দোলন সম্পাদক শোভা সাহা৷ সভা পরিচালনা করেন লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম৷ প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে সিপিবি’র জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সমাজ ও রাজনৈতিক সংগঠক দুলাল সাহা, খেলাঘরের জেলা সভাপতি জহিরুল ইসলাম, নারায়ণগন্জ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিলুফার ইয়াসমিন, আইনজীবী প্রদীপ ঘোষ বাবু, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলার সাধারণ সম্পাদক ফারুক মহসিন, সাংস্কৃতিক সংগঠক সুজয় রায় চৌধুরী, শিক্ষক শাহানা ফেরদৌসী ও দীপা রানী দাস প্রমুখ৷বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে নারী ও কন্যাশিশুর উপর নির্যাতনের হার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ভয়াবহ করোনাকালীন সময়ে পারিবারিক নির্যাতন, হত্যা-ধর্ষণ চরম আকার ধারণ করেছে। এজন্য দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে, আইনের শাসনের জরুরি প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন দরকার। আইন থাকলেই চলবে না, আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে।‘বাল্যবিবাহ একটি জাতির অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়’ বলে উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, দেশে বাল্যবিবাহ বেড়েই চলেছে। দারিদ্র্যতা, কুসংস্কার, অশিক্ষা, ধর্মীয় গোঁড়ামি, নিরাপত্তার অভাব, বখাটেদের উৎপাত, সচেতনতার অভাব ইত্যাদি কারণে বাল্যবিবাহ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে সরকার নারী শিক্ষা প্রসারে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। পারিবারিক, সামাজিক ও একাডেমিক শিক্ষা ব্যাপক সংস্কার দরকার। সমাজ ও রাষ্ট্রে সংস্কার দরকার। সকল ধর্মে অন্ধত্ব বেড়েছে। তাই সামাজিক নিরাপত্তা, নারী ও কন্যা নির্যাতন প্রতিরোধ, সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক ব্যাপক প্রচারণা ও কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ১৯৭০ সাল থেকে সারা দেশে নারী ও কন্যা নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করে চলেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলাও জন্মলগ্ন থেকেই নারী অধিকার রক্ষা ও নির্যাতন প্রতিরোধে আন্দোলন করে আসছে। সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় আশাকরি নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব।#