শিরোনাম
বিশ্বকাপ উম্মাদনার জ্বরে কাপঁছে সারা বিশ্ব | পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের সমর্থকরাও
রাবেয়া মিতু – নারায়ণগঞ্জের খবরঃ ২২ তম বিশ্বকাপ ফুটবলের পর্দা উঠছে ২০ নভেম্বর রোববার। বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে ফুটবল প্রেমীদের উম্মাদনার জ্বরে কাপঁছে সারা বিশ্ব। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমী সমর্থকরাও। নিজের প্রিয় দল জয়ি হোক এটা সবাই চায়। আর এ কারনে পছন্দের দলের সমর্থকরা নিজের অনুভূতি প্রকাশ করা সহ প্রচার ও সমর্থনের জানান দিতে ঘটাচ্ছেন নানা ঘটনা। চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে অফিস আদালত ব্যাবস্থল সহ ঘরের ড্রইং রুম সকল স্থানে একই আলোচনা বিশ্বকাপ ফুটবল। প্রিয় দলের বিশ্বকাপ খেলা দেখবো আর সেই দলের জার্সি পড়বো না তা হবে না সকলেই একটি করে জার্সি সংগ্রহ করেছেন। নিজের বাড়ি ছাদ বা পাড়া মহল্লায় টানানো হয়েছে প্রিয় দলের পতাকা। কেউ দেয়ালে পেইন্ট করিয়েছেন। আবার কেউ প্রিয় দলের সুদীর্ঘ পতাকা বানিয়েছেন, কেউবা নিজের রিক্সা টিকে দলের পতাকা আদলে সাজিয়েছেন। এক কথায় বিশ্বকাপের উম্মাদনায় সমর্থকরা বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছেন। তবে বাংলাদেশে অন্যান্য দলের চেয়ে আর্জেনটিনা ও ব্রাজিরে সমর্থক বেশী।
রোববার স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে ২২তম ফুটবল বিশ্বকাপের। এরপর কাতারের আট স্টেডিয়ামে একে একে মাঠে নামবে অংশগ্রহণকারী বাকি ৩২ টি দল। এরই মধ্যে সকল রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নিরাপত্তার
সকল দিক মাথায় নিয়েই রোববার মাঠে গড়াচ্ছে গ্রেটেস্ট শো অব আর্থ। চার বছর পর আবার ফুটবলের মিলনমেলা। এ মিলনমেলা চলবে এক মাস। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের বিশ্বকাপের দিকে চোখ থাকবে প্রায় ৫০০ কোটি মানুষের। যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। ৩২ দলের এই লড়াইয়ে শেষ হাসিটা যারা হাসবে তারা চার বছরের রাজত্ব পেয়ে যাবে। পুরোনো কারো মাথায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট উঠবে নাকি নতুন কেউ হবেন রাজা? তা সময়ইব বলে দিবে।
কাতার বিশ্বকাপের এবারের থিম সং ‘বেটার টুগেদার। বিশ্বকাপের ঝাঁজ খুব একটা পাবেন না। কিন্তু ঐক্যের ডাক পাবেন যা এখন অশান্ত দুনিয়ায় শান্তির বার্তা দিয়ে যাচ্ছে।
হিপ হপ গায়ক ত্রিনিদাদ কারডোনার লিখা ও গাওয়া গানের কয়েক লাইন ছিল এরকম, ‘জীবনে ওঠা-নামা থাকবে তাতে আমাদের কি করার আছে? আমরা রুক্ষ্ণ ও কঠিন পথকে মসৃণ করে সাজিয়েছি…| আমরা আনন্দ, উৎসবের ছন্দ খুঁজে পেয়েছি….| কখনো দুঃখের নীল সাজবো না যখন আমরা একসঙ্গে থাকি….| আপনি জানেন আমরা একসঙ্গে ভালো থাকি….| আর অপেক্ষায় রাখতে চাই না…| আপনি জানেন আমরা একসঙ্গে থাকি….| সেই সময়টা আজই এবং এখনই।’
রাশিয়া বিশ্বকাপের পর্দা নামার পর গত চার বছরে যে প্রশ্নটা ফুটবল বিশ্ব সবচেয়ে বেশিবার করেছে তা হলো, কাতার কি সত্যিই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারবে? মরুর দেশে বিশ্বকাপ। ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা যেবার কাতারকে বেছে নেয় তখন থেকেই ইউরোপিয়ান দেশগুলো কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে রীতিমত নাক সিটকানো শুরু করে। প্রথমত, কাতারের গরম। দ্বিতীয়ত, ইউরোপিয়ান সংস্কৃতির চর্চা। কিন্তু সব জল্পনা কল্পনা শেষ করে কাতার প্রথম দেশ হিসেবে উপদ্বীপে এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। রোববার স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে ২২তম ফুটবল বিশ্বকাপের। এরপর কাতারের আট স্টেডিয়ামে একে একে মাঠে নামবে অংশগ্রহণকারী বাকি ৩২ দল।
গত বিশ্বকাপ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। এবার কোন দল চ্যাম্পিয়ন হবে সকলের মধ্যেই এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ২২ তম এ বিশ্বকাপ ফুটবল আসরে অংশ নেওয়া ৩২ টি দলের ৮৩২ জন খেলোয়ার খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। সকল ফুটবল প্রেমী বিশ্বকাপের আসরের উদ্বোধনী খেলার সেই মহেন্দ্রক্ষনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
লেখক—-
রাবেয়া মিতু
————-