শিরোনাম
দুদক অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করব – চেয়ারম্যান অদুদ মাহমুদ
আড়াইহাজার প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অদুদ মাহমুদ তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক) কর্তৃক অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান প্রশ্নে বলেছেন, দুদক যদি আমার নামে কোন অবৈধ সম্পদ প্রমাণ করতে পারে তা হলে আমি ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করব। সোমবার তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে এ কথা বলেন।
অদুদ মাহমুদ বলেন, আমি তিন তিন বার জনগণের দেয়া বিপুল ভোটে জয়লাভ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। আমার ইউনিয়নে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডে এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে আমি সরকারী অর্থের পাশাপাশি নিজের অর্থ ব্যায় করিনি। তিনি এলাকার রাস্তা, ঘাট, মসজিদ, মাদরাসা, নানা প্রকার শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের উদাহরণ দিয়ে বলেন, পর পর তিন বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমার পৈত্রিক সম্পদ ছাড়া অবৈধ পয়সায় অবৈধ কোন সম্পদ অর্জিত হয়নি।
অদুদ মাহমুদ আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ওয়ারিশ সনদ দেয়ার ব্যাপারে একটি অভিযোগ উঠেছিল। আসলে এ ব্যাপারে আমার কোন হাত থাকেনা। প্রথমে একজন ওয়ারিশকে সনাক্ত করার দায়িত্ব সমাজের একজন গন্য মান্য ব্যাক্তির। তার পর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বারের। তারা দুজন যাকে ওয়ারিশ হিসেবে সনাক্ত করে ফরমে স্বাক্ষর করবেন তাকেই আমার ওয়ারিশ সনদ দিতে হয়। আমার কোন ব্যাংকে অবৈধ কোন লেন দেন নাই। দেশে ও দেশের বাইরে আমার বা আমার পরিবারের সদস্যদের কোন অবৈধ সম্পদ নেই। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং এমপি াালহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবুর অনুপ্রেরণায় আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। একটি মহল ইর্ষাম্বিত হয়ে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য দুদককে ভুয়া তথ্য প্রদান করে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ অক্টোবর দুদক কর্তৃক আড়াইহাজার সাবরেজিষ্ট্রার কে অদুদ মাহমুদ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের অবৈধ সম্পদের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। দুদকের উপÑপরিচালক মইনুল হাসান রওশনি স্বাক্ষরিত একটি তদন্ত সংক্রান্ত চিঠি আড়াইহাজার সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে আসে। #