শিরোনাম
ব্রয়লার দরে অস্থিরতা | খামারে ১৯০-১৯৫ টাকা নির্ধারণ, খুচরায় কমবে ৩০-৪০ টাকা
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ ব্রয়লার মুরগির দাম সর্বোচ্চ ৩’শ টাকা মূল্যের অস্থিরতা লাগবে ভোক্তা অধিকারের হস্তক্ষেপে খামার থেকে বাজার পর্যায়ে ৩০/৪০ টাকা কমে আসবে। ব্যাবসায়ীরা রমজান মাসে খামার পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যা হাত বদল হয়ে বাজার পর্যায়ে পূর্বের দরের চেয়ে খুচরা দর কমে আসবে ৩০/৪০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি অযুক্তিক ভাবে দাম বাড়িয়ে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি বিষয়টি নজরে আসলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের। এ বিষয়ে ঢাকা হয় দেশের প্রধান ৪ টি শীর্ষস্থানীয় ব্রয়লার খামারীকে। এ চারটি ফার্মের কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশ দীর্ঘ আলোচনা যুক্তি উপাস্থাপন খামার মালিকরা ব্রয়লার মুরগির খামার পর্যায়ে দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করার ঘেষনা দেন ।
শুক্রবার ২৪ মার্চ থেকে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশ; খামার পর্যায়ে এ দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হবে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে মুরগির দাম কত হবে সেটা নির্ধারণ হয়নি।
এক্ষেত্রে বাজারে ব্রয়লারের দাম কমে আসবে বলে আশা করছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, রোজার বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামে একটা প্রভাব পড়বে। আশা করছি, ভোক্তা পর্যায়ে কেজিপ্রতি দাম কমবে ৩০-৪০ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় চার কোম্পানিকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত দামে মুরগি বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, কাজী ফার্ম, সিপি, প্যারাগন ও আফতাব ফার্মের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কোম্পানিগুলো আজ পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা করে মিলগেটে বিক্রি করেছে। তারা আজ বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন, কাল থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে। ব্রয়লারের দাম কমাতে প্রয়োজনে বর্ডার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলেও জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, রাজধানীর কাপ্তান বাজার ও সারাদেশে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে; আজ ফার্ম পর্যায়ে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। সেটি হাত বদল হয়ে ভোক্তা পর্যায়ে কোথাও ২৬০ টাকা, কোথায় ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, মুরগি নিয়ে বাজারে যে অস্থিরতা চলছে, এতে ভুক্তভোগী ভোক্তারা। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্য চারটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে মুরগির অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য ডাকা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, মুরগির খাবারের দাম বেশি হওয়ায়, উৎপাদন খরচও বেশি।
তিনি বলেন, কাল থেকে রমজান মাস শুরু হচ্ছে। রমজানে সাধারণ মানুষের এত বেশি দাম দিয়ে মুরগি কেনা সম্ভব নয়। তাই, আমরা প্রতিষ্ঠান চারটিকে অনুরোধ করেছি, রমজান মাসে একটু কম লাভ করতে। তারা রাজি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এতদিন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি করত। এখন তারা ১৯০ টাকায় বিক্রির কথা বলেছে। তার মানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগিতে দাম কমছে ৪০ টাকা। এখন আগামী দুই-তিন দিন আমরা সারাদেশে মনিটরিং করব। দামে ৩০-৪০ টাকার একটি প্রভাব পড়বে (কমবে)। আমাদের যে সংস্থাগুলো আছে, তারা তা আরও ক্লোজলি মনিটরিং হবে। আশা করি, আজ থেকে মুরগির বাজারের অস্থিরতা দূর হবে। #