শিরোনাম
বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই রাস্তার ৬০ শতাংশ উন্নয়ণ কাজ শেষ হলেও জানে না পল্লীবিদ্যুৎ
নিজাম উদ্দিন আহমেদ – রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ রূপগঞ্জ উপজেলায় সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ। সড়কটির প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও বিষয়টি জানে না পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, খুঁটি সরানোর বিষয়ে তাদের জানানো হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ থেকে জনগুরুত্বপূর্ন সড়ক মাছুমপুর- মুড়াপাড়া সড়কের ব্রাম্মনগাঁও পর্যন্ত ১কিলোমিটার সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে উন্নয়ণ কাজ।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত মাছুমপুর-মুড়াপাড়া সড়ককে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান। শিল্প এলাকায় যাতায়াতে সড়কটি অন্যতম একটি যোগাযোগ মাধ্যম। গত কয়েক বছর ধরেই সরু এ সড়কের বেহাল অবস্থা। জনদুর্ভোগ লাঘবে চলতি বছরের প্রথম দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার সড়ক ২৪ ফুট প্রশস্ত করার কাজ দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর কার্যাদেশ দেওয়া হয় আছিফ অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ঠিকাদারি এ প্রতিষ্ঠান কয়েক মাস আগে থেকে সড়কটি সংস্কার কাজ আরম্ব করে। কিন্তু বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সড়কের কাজ শুরু করে।বর্তমানে সড়কটির নির্মাণকাজের বক্স-কাটিং শেষে ইটের খোয়া ফেলে রোলার দিয়ে সমান করার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সামনের বর্ষা মৌসুমের কথা বিবেচনা করে সড়কে খুঁটি রেখেই দ্রæত কাজ শেষ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।এখনো সড়কের মাঝে বিভিন্ন অংশের বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারনের কোনও খবর নেই।রাস্তা নির্মাণ শেষ হয়ে গেলে খুঁটিগুলো অপসারণ করা সম্ভব হবে না। এতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। সড়কটির ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে সড়কের মাঝে ঠাঁই দাড়িয়ে থাকা আটটি বৈদ্যুতিক খুঁটি। যানবাহন ও পথচারী চলাচলে ঝুঁকি থাকার পাশাপাশি সড়কের দুর্ঘটনারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা নুর আলম মিয়া বলেন, এ জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত সড়ক প্রশস্তকরণ কাজে আমরা খুশি। তবে বৈদ্যুতিক খুঁটি এখনই সরানো উচিত। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা প্রয়োজন। এ সড়কে যা হচ্ছে তা পরিকল্পনাহীন। কাজ শেষে কর্তৃপক্ষ দায় এড়িয়ে যাবে। রাস্তার মাঝে খুঁটি নিয়ে বিড়ম্বনা আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে যানবাহন ও পথচারীদের।
এ সড়কে প্রতিনিয়ত যাত্রী বহনকারী অটোরিকশাচালক মহিবুর বলেন, আগে এ রাস্তা ছিল সরু। তখন বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো রাস্তার পাশে ছিল। তখন চলাচলে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু এখন রাস্তা বড় করায় খুঁটিগুলো রাস্তার মাঝখানে চলে এসেছে। খুঁটিগুলো এ অবস্থায় থাকলে সড়ক প্রশস্ত করেও কোনো ফল আসবে না। অন্যদিকে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন বলেন, এ সড়কের বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো অপসারণের জন্য স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে আবেদন প্রক্রিয়া চলমান আছে। বিধি অনুযায়ী খুঁটি সরানোর জন্য প্রাক্কলন খরচ নির্ধারণ করে আমাদের জানানো হবে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুত বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো রাস্তা থেকে অপসারণ করা হবে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, এ সড়কের খুঁটি সরানোর বিষয়ে উপজেলা এলজিইডির পক্ষ থেকে আমাদের অফিসিয়ালভাবে কিছু জানানো হয়নি। আপনাদের মাধ্যমে যেহেতু জানলাম আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করবো। অনতিবিলম্বে খুঁটি অপসারণে কাজ করবো। #