হ্যাটট্রিক বলে যে ভাবনা ছিল তৃষ্ণার
স্বীকৃত ক্রিকেটে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই ৬ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা। সিলেটে তৃষ্ণার আগুনঝরা বোলিং এখনও স্মৃতিতে তরতাজা। সেই সিলেটেই এবার অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে গড়লেন রেকর্ড। এশিয়া কাপের মতো বড় মঞ্চে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে করলেন হ্যাটট্রিক।তৃষ্ণার ইনসুইংয়ে বিধ্বস্ত মালয়েশিয়া ১৩০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে অলআউট হয় মাত্র ৪১ রানে। অভিষিক্ত এই ক্রিকেটারের বোলিং দেখে জ্বলে ওঠেন ফাহিমা খাতুন-রুমানারাও। অভিষেক ম্যাচে হ্যাটট্রিক এর আগে হয়েছে মাত্র একবার। মালদ্বীপের বিপক্ষে নিজের আন্তর্জাতিক অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন পরপর দুই উইকেট নেওয়ার পর কী ভাবনা ছিল তৃষ্ণার? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের উত্তরে সাবলীল তিনি, ‘হ্যাটট্রিক বলে অধিনায়কের নির্দেশনা ছিল যেন আমি লেন্থ বলটাই করি। যেহেতু আমার লেন্থ বলে দুটা উইকেট পড়েছে। কাজেই লেন্থ বল খেলা ওদের জন্য কঠিন হবে।’প্রথম দুই ওভারে ৬ রান দেওয়া তৃষ্ণা উইকেটের দেখা পান ষষ্ঠ ওভারে। সাফল্য পান ইনসুইংয়ে অধিনায়ক উইনফ্রেড দুরাইসিংগামকে (৫) বোল্ড করে। পরের বলে ক্রিজে এসেই এলবিডব্লিউ হন মাস এলিসা। আর তৃতীয় বলে ইনসুইংয়ে পরাস্ত হন মাহিরা।তৃষ্ণার ইনসুইংয়ে পরাস্ত হয়েছেন মালয়েশিয়ার মেয়েরা। তার শক্তির জায়গা কি তাহলে সুইং? তৃষ্ণা নিজের বোলিংয়ের শক্তি নিয়ে বললেন, ‘আমার শক্তির জায়গা হচ্ছে আমার স্পট বল। মানে মূল জায়গা স্পটে। সহজাতভাবে আমি আউটসুইং পাই, যেটা বাঁহাতিদের বেলায়। ডানহাতিদের বেলায় যেটা ইনসুইং হয়। আমি যদি আমার জায়গায় বল করার চেষ্টা করি আমার বলগুলো ভালোই হয়। কাজেই আমি আমার শক্তির জায়গা মনে করি স্পট বলটাই।’নেপালের অঞ্জলী চাঁদ। তৃষ্ণাকে টি-টোয়েন্টি ক্যাপ দিয়েছেন আরেক তারকা পেসার জাহানারা আলম। তাতে এই বাঁহাতি পেসার খুব খুশি। এ ছাড়াও দলের সব সতীর্থরা তাকে আশীর্বাদ করেছেন, শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দলের সব সিনিয়র অনেক ভালোবাসা দিয়ে শুভকামনা জানিয়েছে। প্রথম ম্যাচে ভালো করতে পেরেছি, এটুকুই।’