রূপগঞ্জে ৩৭টি হাই স্কুল ও ১৯টি মাদ্রাসার মোট ৫,৮৩৬ শিক্ষার্থী
নিজাম উদ্দিন আহমেদ – রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ সারা বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ফলে গত তিন বছর বাংলাদেশে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ কারণে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী শেষে পাঁচ বছর পর আবারও কোনো পাবলিক পরীক্ষার হলে বসেছে শিক্ষার্থীরা। এবার রূপগঞ্জের ৩৭টি হাই স্কুল ও ১৯টি মাদ্রাসার মোট ৫,৮৩৬ জন শিক্ষার্থী ৯ টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে হাই স্কুলের ৬টি ও মাদ্রাসার ৩টি কেন্দ্র। ৩,১৩৬ জন ছাত্রী ও ২,৭০০ জন ছাত্র শিক্ষার্থী এবার এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। আজ ৩০ এপ্রিল রোববার সকাল ১০ টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে ১ টায় শেষ হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে সব বিষয়ে, পূর্ণাঙ্গ নম্বরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি বিষয়ে স্বাভাবিক সময় তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে। সৃজনশীল ও নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকবে আগের মতোই।
আজ প্রথম দিনে এসএসসিতে বাংলা, মাদ্রাসার দাখিলে কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরির ভোকেশনালে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের এসএসসি পরীক্ষা চলবে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত। ২৪ থেকে ৩০ মের মধ্যে নেওয়া হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। অন্যদিকে ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে দাখিল পরীক্ষা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। আর ২৭ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে দাখিলের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। আজ ৩০ এপ্রিল থেকে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। ২৫ মে থেকে ৪ জুনের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ৫ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত বাস্তব প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে এসএসসি এবং সমমান পরীক্ষা নিতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সবধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে।
জানা গেছে, এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সারা দেশে মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ ছাত্র এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ ছাত্রী। এবার ৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন। দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেবে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ পরীক্ষার্থী। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেবে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭ পরীক্ষার্থী। এ বছর পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। এবার মোট কেন্দ্রসংখ্যা ৩ হাজার ৮১০। প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৯৮। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র ২০টি। #